হারিয়ে গেছে রং হারিয়ে গেছে রূপ,
ছাড়ানো ছিল যা বাংলা মায়ের অঙ্গনে।
রাখালের বাশি  কৃষকের হাসি,
ফুটে না এখন মুখ প্রাঙ্গনে।
ছলিমের বউটারে দেখিনা এখন তারে,
জল ভরা কলসিটা সাথে।
রূপালী নদীর স্রোত, বয়ে বার্তার রূপ,
দেখা হয় কত শত ঘাটে।
লক্ষি পেচাঁর ছানা, ভুলেও চোখে পরে না।
ডাহুক ডাকেনা না কভু আর।
কোথায় পালাল তারা প্রকৃতি টা খাপছাড়া,।
মাঠ বন পুড়ে ছাড়খার।
নবান্ন দেখি নাতো পিঠা পুলি শত শত।
কৃষানীর মুড়ি ভাজা হয়না।
নদীর পানিতে কভু নৌকাটা দেখি না তো,
জেলেদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
বৈশাখী মেলাতে কভু, দেখিনা রং এর তাবু,
ঘুড়ি আর চরকির  খেলা।
কুকিলের কুহু কেকা, তার আর নাই দেখা,
বর্ষার ঘোলা জলে ভাসে না তো ভেলা।
হলুদ সরিষা ফুল, দেখে মন হয় আকুল,
ভুলেও দেখিনা আর এখন।
আকাশের রংধনু,গোলাপ ফুলের রেণু।
দেখতো পায় না তো হলে প্রয়োজন।
সবুজ মাঠটারে, সবুজ দেখিনি তারে।
চাঁদটাও মনে হয় হয়েছে বদল।
জোছনা টা কভু আজ সাজে না নিজের সাজ,
দেখায় না রূপালী কপোল,
আমাদের জঙ্গলে , বোনু আম নাহি পাকে।
শিয়লে নেয় নাতো মুরগী,
রাতে ভয় হয় না তো,ভুত আর পেত্নিতে,
পালিয়েছে ছেড়ে দেশ চাকরি।