আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি,তাতে আমার দুঃখ নেই ।
আমি শহীদ ভাইদের দেখিনি,তাতে আমার দুঃখ নেই।
আমার কোন দুঃখ নেই, আমার চোখের সামনে চলছে,
             এক গণজাগরণের জুদ্ধ,এক তারুণ্যের যুদ্ধ।
এক মুখরিত আন্দোলন,যে আন্দোলনে কোন ধর্মের ভেদাভেদ নেই,
                           যে আন্দোলনে নারী-পুরুষ  ভেদাভেদ নেই,
                                   যে আন্দোলনে কোন প্রতিষ্ঠান নেই,
                                                     কোন সংগঠন নেই,
                                                   নেই কোন রাজনীতি।
এক সারিতে বসে কেবল একটাই দাবী-
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই।
যুদ্ধাপরাধী,যারা আমার মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল,
             যারা এই দেশটাকে তুলে দিতে চেয়েছিল অন্যের হাতে,
             যারা সমানে হত্যা করে গেছে আমার লক্ষ লক্ষ ভাইদের,
             যারা সমানে কেড়ে নিয়েছিল আমার লক্ষ লক্ষ মা-বোনদের ইজ্জত।
আজ আমি তাদের ফাঁসি চাই।
আমি চাই না তাদের কবর এই দেশের মাটিতে হোক।
আজকের এই আন্দোলন মনে করিয়ে দেয় ৭১’ কে।
যে ৭১’ ছিল,বারুদের গন্ধে ভরা এক কলঙ্কিত বছর।
সে ৭১’ এ কেউ মুখ ফুটে বলেনি,
“সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।”
৭১’ এ কেউ প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে  যুদ্ধ করতে পারেনি।
মা বোনেরা খাবার তুলে দিতে পারেনি সন্তানের মুখে খাবার।
আজকের এই গন মিছিলে-
মশাল প্রজ্জলন জলছে,কিন্তু কোন বারুদের গন্ধ নেই।
এই যোদ্ধাদের হাতে কোন অস্ত্র নেই-
আছে কেবল ব্যানার,আছে মশাল,আছে মুষ্টিবদ্ধ হাত।
আর কণ্ঠে আছে দেশের গান,কবিতা আর সমস্বরে শ্লোগান,
ফাঁসি চাই,ফাঁসি চাই,জুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই।
জ্বালিয়ে দাও,পুড়িয়ে দাও রাজাকারদের আস্তানা।
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি মানি না মানব না।
আজ আমার বাংলা মায়ের চোখে কোন জল নেই,
কারণ-আজ তাঁর সন্তানেরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ-
যত দিন দাবী পূরণ না হচ্ছে,তারা ঘরে ফিরে যাবেনা।
তাদের এই তারুণ্যের যুদ্ধ,চলছে ; চলবে ;।