কি যেন এক অদ্ভূত চরিত্র ভূতনাথ।
এক ছোট্ট চিলেকোঠার ভেতরে সে আর কমলিকা।
তিনি কেন ঐ চিলেকোঠার ঘরে জিজ্ঞেষ করলে বলেন,
তিনি এক ধর্ষিতা কে বিয়ে করেছেন।
তিনি সমাজের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে,ধর্ষিতা কমুকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছেন।
তিনি,প্রেমাকান্ত প্রেমা স্কুলের প্রেম বিভাগের শিক্ষক।
তিনি কখনো কখনো প্রায়ই ছাত্রদের বলেন,
“ঐ প্রেম নামের শব্দটি এখন আর ভালবাসা পর্যন্ত এগোয় না,
সে ঐ বিছানাতেই শেষ হয়”।
অদ্ভূত ভূতু মাঝে মাঝে বাচ্চা হয়ে ধরা দেয়।
সে তখন এক বাচ্চা শিশু যে কিনা পথের ধারে,
কখনো কখনো রেল পথে,কখনো বা ফুটপাতে।
সে ঐ এম.পি’র ছেলে বলে নিজেকে পরিচয় দেয়।
কারণ জিজ্ঞেষ করলে বলে,
“পথের দুঃখ বুঝি,পথের কান্না দেখি,পথের সুখে হাসি,
তবু কোনটাই সংসদে ওঠে না। উঠলেও তার হিসেব হয় না”।
সেই শিশু ভূতনাথ পথে পথে যায়,দ্বারে দ্বারে যায়,
কেউ তাকে দেখে না।
শোনা যায় তার ক্ষুদার জ্বালাতনে তীব্র আর্তনাদ।
ধরিত্রী এতই নিঠুর,
সেই অদ্ভূত ভূতনাথ এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হয়ে,
ছাত্রের হাতে মার খায়।
একজন শিক্ষক হয়ে পুলিশের পিপার গ্যাসের শিকার হয়।
তবু তার শিক্ষা দান বন্ধ হয় না।
তবু তার ছাত্রের প্রতি স্নেহ মমতার কমতি নেই।
তাই এই শিক্ষক,এই শিশু আমার কাছে প্রিয়।