তখন কমলিকার পাঁচ বছর,আদর করে সবাই ‘কমু’ বলেই ডাকত।
আজ কমু’র পনেরো।
তাকে নিয়ে স্কুলে বাথরুমের দেওয়ালে অশ্লীল ছন্দ তৈরি হয়।
এই পনেরোতে তার সকল শিক্ষক তার প্রশংসায় মুখর।
যখন সে আঠারোতে তথা কলেজে,
তখন কলেজ শিক্ষক চায় তাকে নিয়ে বিছানায় নিয়ে সময় কাটাতে।
চড়াই উতরাই পেরিয়ে কমলিকা একুশে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খলতার বিরুদ্ধে যখন প্রতিবাদী হয়ে ওঠে,
তখন তাকে রাজনৈতিক নেত্রী পরিচয়ে জানা হয়।
টিউশন শেষ করে রাত্তিরে বাড়ি ফেরার পথে,পাড়ার মোড়ে,
বখাটে ছেলেদের অশালীন ভাষায় উত্যক্ত আজ অপরাধ নয়।
কিন্তু কমলিকার রাত করে বাড়ি ফেরার কারণ নাকি শরীর বিক্রি।
আর এই প্রকারেই এক নারীর শরীর,শিক্ষা,পেশা
তথা এই নারীজাতির শ্রদ্ধা করা হয়।