গার্মেন্টস কর্মী কমলিকা।
কমার্স কলেজ রোড বাসা।
আমার জানালা দিয়ে তার ঐ এক রুমের বাসা দেখা যায়।
রোজ ঘুম ভাঙ্গে তার চিৎকারে।
ঘুম ভাঙ্গা চোখে দেখি,
যাচ্ছে তাই গালাগালি।
কাকে,কেন-তা খুব স্পষ্ট বোঝা যায় না।
ভোর সাতটা।
দেখি হাতে টিফিন বক্স আর
কোলে দু’বছরের শিশু।তার বুক ফাটা কান্না।
‘হয় মার সাথে যাবে নতুবা মা আজ কাজে যাবে না’,
এই আবেদনে।
কখনো সামলাতে পারে আর যেদিন পারে না,
সেদিন কোন কথা নয় দু গালে কষে চড়।
তারপর তার হাঁটার গতি শুরু হয়।
কত দ্রুততা তার হাঁটাতে।কখনো কখনো দেখি,
মেইন রোডে উঠতেই এক দৌড়ে বাস ধরতে।
তারপর দিন শেষে আবার বাড়ি ফিরে গলা ফাটানো চিৎকার।
আর মায়ের ঘরে ফেরার আনন্দে শিশুর মায়ের বুকে জড়ানোর আবেদন।
তারপর ক্লান্তি  নিয়ে নতুন দিনের অপেক্ষায় থাকা।
আবার ভোর হয়।
আবার সেই চিৎকার,শিশুর বুক ফাটা কান্না,
দৌড়াতে দৌড়াতে বাস ধরা,রাত হলে বাড়ি ফেরা।
সেই চিৎকার,কোলে উঠার আকুল আবেদন সেই শিশুর।
কমলিকার দিন যাপন।