মা ধরলেন বায়না, সকাল বেলা উঠা মাত্র;
একটু দুরের রাস্তা হতে আনতে হবে ডুমুর পত্র ।
মায়ের কথা রাখতে আমি, গেলাম রাস্তার ধারে;
ডুমুর পত্র খুঁজে খুঁজে, পেলাম পুকুর পাড়ে ।
পত্র পাওয়ার একটু আগে, দেখলাম আমি, তোমার হাসি মুখ;
কাছে গিয়ে, কথা বলে, পেলাম মনে অনেক সুখ ।
অনেক দিন পরে আমি, একই দিনে এত খুশি ;
দিনটা ছিল বড় পুজার-ঐ, মহা-নবমী ।
সেই দিনটায় তোমার পিছু, করেছিলাম ধাওয়া;
বাধ্য হয়ে মেনে নিলে, তোমার সঙ্গে যাওয়া ।


অনেকটা পথ পার করেছি, দুইজনে একই সাথে ;
জমে থাকা কথাগুলো ভাগ করেছি তোমার কাছে ।
মারার ছলে আমার পিঠে, যখনই রাখতে হাত ;
মনে হত, আমি যেন, তখনই হব কাত ।
গল্প শুনে হাসছিলে তুমি, পিছন ফিরে দেখছিলাম আমি ;
রেল লাইনে হাটার সময়, তুমি ছিলে একটু পিছে ;
সত্যি করে বলবে কি, ভালোবাসা লুকিয়ে ফেলার, লক্ষণ গুলোকি, সবই মিছে ?
বিকেল থেকে বসে রইলাম, দেখবো তোমায় কখন ?
শত পাইচারী বৃথা গেল, আসলেনা তুমি যখন ।
অবশেষে সন্ধ্যার কালে, আসলে তুমি পূর্ণিমা হয়ে ;
কিছুক্ষন দিলে আলো, মনের দুঃখ কেটে গেল ।
এমনই করে প্রতিদিন যদি, পেতাম তোমার সঙ্গ ;
ধরণীটা আমার কাছে, হত নবম স্বর্গ ।।