আজ সারাদিন বৃষ্টি হচ্ছে। টুপটুপ শব্দ টিনের চাল
ভেদ করে মিলিয়ে যাচ্ছে। জানি তাহিরপুরের পুকুরে দু'টো সাদা হাঁস পালকের নিচে মাথা গুঁজে বসে আছে। আমার সামনে একাশিয়া গাছটি তার পাতাদল নিয়ে বারবার কেঁপে উঠে। যেভাবে কেঁপে উঠে কিশোরী তার প্রথম যৌবনে।


তুমি চাদর জড়িয়ে জানালার পাশে বৃষ্টি দেখো।
বিরবির করে গাইছো রবীন্দ্র সংগীত।
আমাকে মনে পড়ছে কিনা ঠিক বলা যাচ্ছেনা। সদ্য,
তীব্র বিষাদ তুমি গায়ে মেখেছো।
ঘন কালো মহিষের মতো
সে বিষাদ তোমার চোখেও লেগে আছে।


এদিকটায় বৃষ্টি বেড়ে যাচ্ছে। শৈশবের মতো।
মাঠে ফুটবল, অর্ধ উলঙ্গ কিশোর বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে দৌড়াচ্ছে উপজেলার মাঠে। জীবনও তাদের সাথে দৌড়াচ্ছে আকাশের নিচে।


ঠিক এমনি এক বৃষ্টির দিন,আমি হাঁটবো গন্তব্যহীন। হয়তো তুমি টের পাবে কিংবা পাবেনা।
উপলব্ধি করবে ঠিকই, যোগাযোগ হবেনা।
কথা হবেনা, দেখা হবেনা।
একটা নিঃসীম শূণ্যতা তোমাকে ঘিরে থাকবে সেদিন তোমার কোন কাজেই মন বসবে না।
অথচ তুমি জানতেই পারবে না আমি নেই।


এমনি এক বৃষ্টির দিনে তুমি পুরোপুরি জেনে যাবে
বৃষ্টির মাঝে কেউ হারিয়ে গেলে তাকে খুঁজতে নেই ছাতা হাতে।