কতো বছর তোমাকে দেখিনা।
আর কতো বছর দেখা হবেনা~জানিনা।
কতো শীত পাড়ি দিয়ে দু'টো ছানাপোনা সাথে নিয়ে
তুমি পাড়ি দিলে সুদূর আমেরিকায়,চোখের বাহিরে।


বাচ্চারা কেমন আছে?
তুমিই বা আছো কেমন!
উত্তর দিতে হবেনা,বুঝে নিতে পারি এখন,
হাওয়ার ভাষা,চুপ থাকার ব্যাকরণ।


অনেকদিন আর কোথাও যাইনা আমি,
ঘাপটি মেরে দরজা বন্ধ করে বসে থাকি।
আমার টেবিল,বিছানা পাতি, বইয়ের রেক আজ
ধুলোর রাজ আসন, আমার কোন বিকার নেই তাতে।
কলমের কালি শুঁকিয়েছে বোধহয়, মস্তিষ্ক বেয়ে কবিতা নামেনা আগের মতো,রাতে।


শরীরে বাসা বেঁধেছে দুরারোগ্য ব্যধি,
নীরবে সে খেয়ে নেয় রক্ত মাংস, দৃষ্টির কুশলাদি।।


তোমারও তো বয়স বেড়েছে।
চুলগুলো বরফের মতো সাদা, চোখের চশমাটা,
কেমন আছে? তারওতো বয়স হয়েছে, সেই কতো বছর থেকে তোমাকে বয়ে বেড়াচ্ছে!
কালো ফ্রেম, স্বচ্ছ কাচ,দুয়েকবার আমাকেও পড়িয়েছিলে, মনে আছে?
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
সেবার আমার এক বই বেরিয়েছে, তুমি আর আমি
নতুন বই নিয়ে কতো ছবি তুলেছি।
তোমার কোলে মাথা রেখে শুনিয়েছিলাম এক পাগল
কবির ইতিহাস।
তুমি আমার হাতটি চেপে ধরে বলেছিলে কবিরা কেন পাগল হয়? সেই উত্তর টুকু তোমাকে জানানো হয়নি।


আজ বলি শুনো -
কবিরা ভালোবাসার অতল গহ্বরে তলিয়ে যায়, তারপর ফিরে আসে পৃথিবীতে,
সেই যে ভালোবাসার গহীন টান মস্তিষ্কে লেপ্টে থাকে
তা থেকে কবিরা বেরুতে পারেনা,আজীবন বয়ে বেড়ায়। এ জন্যই কবিরা পাগলের মতো প্রলাপ গায়।
যাকে তোমরা কবিতা বলো কিংবা কবিতার মতো,
আরেকটি দেহ।