রাত বাড়লেই আমি ঘুমিয়ে পড়ি,
আস্তে আস্তে সবাই ত্যাগ করে, আত্মীয়-স্বজন,
বন্ধু-বান্ধব, জ্ঞানী-গুণী।
তারা সবাই জেনে গেছে আমি মূলত অসহায়,ঋণী।


রাত বাড়লেই,
মগজে নেমে আসে মৌমাছি,
গুনগুন আওয়াজে মধু চষে বেড়ায়।
মাথার যে অংশে ফুল ফুটে সে অংশে তারা অবরোধ করে; খেয়ে নেয় বারুদের পাহারায়।


আমি ঘুমে,টের পাই।
চুপ থাকি।
আমি অসহায়,ঋণী।


কাগজে কলমে যতটুকু লিখা নাই,
ততটুকু অসহায় চোখে ঘরের দরজা বন্ধ করে,
আবারো নেমে যাই, ঘুমে।
হাঁটি সবজি বাজারে, প্রাইম মিনিস্টার ভবণ, ব্যাংক,
সবচেয়ে উঁচু উঁচু দালান গুলা যেগুলো হা করে থাকে।
তাদের সামনে নত হয়ে বলি, আমি ঋণী।


ওরা সবাই তাচ্ছিল্যতার সুরে শুনায় অমর বানী-
কষ্টের মতো পরশ পাথর আর নেই।
ধৈর্য্য ধরতে হয়।
একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে,দেখে নিয়ো।
আমি তাদের বলি, আমি ঋণী।
বার্গার স্যান্ডউইচ নয়,একপ্লেট গরম ভাত আর ডাল
আমার ভীষণ প্রিয়।
কেউ কোন কথা বলেনি,কবরের মতো নীরব সব।
এখানে সবাই কতো বড়! কতো জ্ঞানী-গুণী।
আমার দুঃখটা আমারই ছিলো, আছে।
একটুও কমেনি।
আমি ঋণী।