এশার আযানে
আমার উঠানে নেমে আসে এক ঝাঁক শূন্যতা।
কেউ কোথাও নেই।
আকাশে চাঁদ নেই, ঢেকে আছে ঘন কুয়াশা।


আমি জানালার পাশে এসে দাঁড়াই।
দূরে দেখা যায় একটা বাতির টিমটিমে আলো।
দোল খায় - হয়তো কোন জেলে পল্লীর নৌকায়।


বাড়িতে বধূ উঠানে চড়িয়েছে রান্না,
বধূর চোখে ও কি মাঝে মাঝে ভেসে আসে!
দূর দেশ থেকে কাগজি লেবুর গন্ধে মোড়ানো
কান্না।
হয়তো সে গোপন করে, ভেজা আঁখি মুছে সাবধানে।
হয়তো তারও সাধ জাগে কোন এক প্রভাতে
শিশির হয়ে সূর্য্যের সাথে উড়ে যেতে।
কিংবা ভর দুপুরে আমগাছে বসে থাকা শালিকের মতো এ ডালে,ও ডালে উড়া উড়ি করে
শরতের ঘ্রাণ গায়ে মাখতে।


জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকি আমি।
চারপাশে রাশিরাশি নীরবতা নামে।
আমার ঘরে
আমার উঠানে।
আমি টের পাই।
চোখ বুজে থাকি।
একটা ছবি ভেসে উঠে।
চোখে চশমা,তরতাজা ঠোঁটে লাল লিপস্টিক।
তারপর নেমে আসে নীরবতা।
অন্ধকারের চেয়েও আরো কঠিন, নীরবতা।


আমি দাঁড়িয়ে থাকি বারান্দায়।
শূন্যতা এসে অজগরের মতো আমাকে জাপটে ধরে।
আমার সমস্ত হাড়, মাংস এক করে সে চলে যায়।
আমি দাঁড়িয়ে থাকি বারান্দায়।
যেনো আমাকে কেউ খুঁজতে এসে
রাস্তা ভুল করে চলে না যায়।
কেউ আসেনা।
আমি দাঁড়িয়ে থাকি শূন্য বারান্দায়।