তোমাকে ভুলার জন্য বেঁচে নিলাম কবিতা।
আমার মাথার শিওরে বসে থাকে -
আব্বাস কিয়ারোস্তামি, ইমরা উল কায়েস,
জাক প্রেভে, শক্তি চট্টোপাধ্যায় সহ আরো অনেকে।
সারারাত জেগে উনাদের সাথে আলাপ করি,
রাত গাঢ় হলে,পাশের বনে শেয়ালের কোলাহল উঠে।
বুকের ভেতর বিঁধে যায় মিশরের নীরবতা -
জানালা খুলে দেখি দূরে কে যেন সাওয়ার হয়েছে
উটের পিঠে, জ্যোৎস্না গলে যায় শীতে।
চারদিক বিষণ্ণ শাদা।


যারা এতোক্ষণ আমাকে সঙ্গ দিয়েছিলো,
শুনিয়েছিলো তাদের কবিতা লিখিত কাগজে,
তারাও চলে গেলো ঐ উটের পিছনে পিছনে।
যেনো তাদেরও ভীষণ তাড়া মিশে যাবে নীরবতার
উল্লাসে।


তোমাকে ভুলা হলোনা।
কবিতারা আজকাল আমার সাথে বেঈমানি করেছে।
যেভাবে বেঈমানি করে বন্দুক তার নিজের প্রভুর সাথে। এ রোগ বড্ড ছোঁয়াছে।
আমি যতোই বলি - আমাকে ভুলিয়ে দাও।
ওরা ততোটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে তোমার স্মরণে।।


কি লাভ বলো মনে রেখে!
মনে রাখলেই বেড়ে যায় দুঃখ - মুড়ির মতো ফুটতে থাকে বুকে।। মানুষের বুক জলন্ত উনুন।।
যাকে ভালোবাসা হয় সে ফুটে, জ্বলে উঠে শুঁক তারার মতো পূব আকাশে।
চোখের কার্ণিষ ঘেষে।।
তোমাকে ভুলতে চেয়েও ভুলা হবেনা জানি।
কারন,প্রেমিকের বুক জলন্ত উনুন, ফস্ করে
জ্বলে উঠে ভালোবেসে।।