কুড়ি বছর আগে  দেখেছিলাম তাকে,
তখন তাহার বয়স ছিল কুড়ি।
চাহিত সে আড় চোখে হাসিতো ঠোঁটের কোণে
কহিত কথা অতি বিনয়ে লাজুক লাজুক মনে।
তখন সে বলিতো আকাশের কথা মেঘের কথা পাখিদের কথা ফুলের কথা কখনো কবিতার কথা রবীন্দ্র কি নজরুল,
মাঝে মাঝে তার চাঁদ মুখ খানি রাঙিয়ে উঠিত যদি পড়িতো ভুল।
শতেক প্রশ্ন থাকিতো মুখে শতেক প্রশ্ন মনে,
সহস্র কৌতুহল খেলিতো তাহার স্নিগ্ধ চোখের কোনে।


আজ অকস্মাৎ আবার দেখিলাম তারে দীর্ঘ কুড়ি টি বছর পরে,
কোন এক পিকনিকে পিছু থেকে ডাকিলো সে আমায় অতি মৃদু স্বরে।
বলিল চিনেছো আমায়? আমি সেই.....
চিনবো না তারে?
যাহার হাসিতে মসীতে আমার জাগিতো নিত্য ছন্দ,
যাহার সজল কাজল আঁখিতে আমার হৃদয় দুলিত মৃদুমন্দ,
কুড়ি বছর কেন? শত বছর পরেও,
চিনবো তারে যে আছে মোর হৃদয় জুড়ে।


আজ সে যে চেয়ে আছে সজল চক্ষে, বক্ষে তাহার সহস্র কথার মালা,
যেন অনেক আগে তাহার কোন গোপন কথাটি লজ্জায় হয়নি কো প্রাণ খুলে বলা।
হয়ত তাহার হৃদয়ে ছিল লজ্জা আমার হৃদয়ে ভয়,
দুজনের মনের কথা রহিল গোপনে প্রেম হলো অক্ষয়।


কুড়ি বছর আগে তাহার বয়স ছিল কুড়ি
আমার বয়স আজ নাই বা হল বলা,
এখন আমরা দুজনে বুড়ো বুড়ি
আগের মতো হয় না পথ চলা।।