তখনো হয়নি সন্ধ্যা বেলা যায় যায়,
বাসায় ফিরিব এক্ষুনি এই অভিপ্রায়।
হঠাৎ পিছন থেকে কে যেন কয় ডাকি,
আছে কিছু রজনী গন্ধা তুমি নিবে নাকি?
চমকি উঠিল মন মোর এই গোধূলি বেলায়,
কার মনে করে ধ্যান আমার প্রণয়!
পিছু ফিরে দেখি যবে কৌতুহল ভরে,
এক অনাথিনি কাছে এলো বক্ষে ফুল জুড়ে,  
গায়ে তার জামা নেই কষ্টে রূষ্ট চোখের পাতা,  
যেন ফুল হাতে ক্ষুধায় কাঁদে বিশ্ব মানবতা।
  
দাঁড়িয়ে সম্মুখে, কত কথা মুখে;
অবশেষে অবনত চোখে
কহিল, সাহেব তুমি এই নাও ফুল,
দাও কিছু টাকা মোরে এর সমতুল,
কিনিতে অন্ন। মনে মনে বলি ওরে অভাগিনী,
ফুলের মূল্য কত আমি কি আর জানি।  


অগত্যা ফুল নিয়ে বাসায় যখন আসি,
দেখি, মৃদু কাঁপা ঠোঁটে হাসিছে প্রেয়সী।

ক্লান্ত দেহে যবে চোখে এলো ঘু্‌ম,
বলিল প্রেয়সী মোর চোখে দিয়ে চুম
কেমনে শুধিব তোমার এত প্রীত ঋণ,  
এত মশগুল তবু করনি-কো ভুল
স্বরিতে আজ যে আমার জন্মদিন।


মনে মনে হাসি আর বলি,- ওরে অনাথিনী
তুই বুঝি মোর রাখিলি মা্‌ন,
তোর কারনেই মোর প্রণয়ীনি
আজ উজারিল মোরে তার শোভিত প্রান।।