সুদূর ভ্রমণে কে নাহি চায় সুন্দরী সঙ্গিনী,
আমি ও কি তার ব্যতিক্রম?
ভাবতে ভাবতেই দেখা দিল,
মোর  সৌ-ভাগ্যের উপক্রম।


সহজ সরলা চপলা চঞ্চলা বয়স সম্ভবত একুশ,
শ্যামল বাংলার শ্যামল সুন্দরী দেখতে অপরূপ।
চোখে চোখ রেখে প্রসন্ন মুখে ছড়িয়ে স্নিগ্ধ হাসি,
একই ট্রেনে একই সিটে বসে পাশাপাশি,
বিনয়ের বেশে আধখানি হেসে
“জিজ্ঞাসিল, আপনি কি সহ যাত্রী?
তবে ভয় নেই আর দূর পারাপার হউক দিবা-রাত্রি।
দেখতে হয়তো একটু কালো কিন্তু আপনার আঁখি দুটি বিস্ময়,
বাতায়ন পাশে তাকালে ও দুচোখ যেন প্রকৃতির সাথে কথা কয়।
কবি নাকি? গল্প লেখক? আমি ও অল্প জানি,
এই মৌসুমে প্রকৃতির রূপ মাঝে মাঝে আমায় ও দেয় হাতছানি।
কিন্তু কখন ও হয়নি লিখা, কাহাঁর পাইনি দেখা এমনি করে,
মনের কথা প্রকৃতির রূপ বলি কারে প্রাণভরে।
রাজনীতি করেন? আমার ও মাঝে মাঝে পলিটিক্স করতে জাগে সাধ,
অনেক মজা, নেতারা নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে দিয়ে খুঁজে নেন আত্মপ্রসাদ।  
শুধু দেশ প্রেমিক হয়ে লাভ নেই আর, যদি হন দল প্রেমী,
অর্থ বিত্তের মালিক হবেন, হয়ে যাবেন নামীদামী।
কফি খাবেন? আমি কফি খুব ভালবাসি”
মিষ্ট ভাষায় তুষ্ট করিয়া চলিল হাসাহাসি।  
কখন যে কাটিল বেলা কখন যে শেষ হইল পথ,
সম্বিত হল যখন সে বলিল  “আসি, আবার হইবে দেখা” হাতে দিয়া চিরকুট।


বিদায়ের ক্ষণ বিচলিত মন তবু ও এ ভরসায়,
চিরকুটে রবে কত কি লিখা, মোবাইল নাম্বার, শুভেচ্ছা ভালবাসায়।  
অতি কৌতূহলে ছোট চিঠিতে যবে দিলাম মিষ্টি দিঠি,
আকাশ ভাঙ্গিল আমার মাথায়, লিখেছেন দুরন্ত সুন্দর যুবতী।
-যতটা আমি বলেছি আপনাকে আপনি ততটা নন,
ভয় ছিল ভ্রমণ পথে যদি কেউ মোর সম্ভ্রম করে লুণ্ঠন,
তাই একাকী ভ্রমণ পথে আপনার সাথে করেছি মিথ্যে প্রেমের অভিনয়,
আমার এ ক্ষণিক প্রনয় আর চপলতা ছিল শুধু খুঁজে পেতে নিরাপদ আশ্রয়।


(কবিতাটিতে মূলত মেয়েদেরকে ভ্রমণ পথে ধর্ষণ হতে রক্ষার কৌশল শিক্ষা দেওয়া হয়েছে)