চিঠি আসবে খোকার
     তাই ভেবে পথ চেয়ে বসে আছে এক বুড়ি মা
     খোকা তার যুদ্ধে গেছে...।।


দরজায় একটু শব্দ হলেই দৌড়ে আসে মা
এই বুঝি খোকার চিঠি এলো
আর নুর' নুর' বলে ডাকতে থাকে...
              নুর হলো মা"য়ের ছোট মেয়ে
              সে  তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ে
তার বড় ভাই রফিকের সব চিঠি সে''ই মাকে পড়ে শুনায়
খানিকটা ভাঙ্গা ভাঙ্গা উচ্চারনে...।।


একদিন মুশুল ধারে বৃষ্টি হচ্ছিল
মা তখন দু-হাত তুলে দোয়া করছিল খোকার জন্য...
      ""খোকা তুই অসুস্থ হয়ে পরিস’'নে,
      নইলে তোর আর এক মা'কে স্বাধীন করবি কি করে...!!
      আমি তোর জন্য দু-হাত তুলে দোয়া করছি......
      তুই যখন ঘরে ফিরবি তখন আমার জন্য সবুজের বুকে  
      লাল সুর্য''টা নিয়ে আসবি......আচ্ছা......""


দীর্ঘ্য্ নয় মাস পর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সমাপ্তি
কিন্তু বুড়ি মা্য়ের প্রতিক্ষ আজও শেষ হয়নি……
তিনি এখন পথ চেয়ে আছেন’ তার খোকার
তার চোখের জল টলমল করছে
তার বাকুলতার বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে
মলিন মুখে তার একটাই কথা…
      “খোকা তুই কবে আসবি…?”


মা এখন অন্ধ প্রায়…
মাঝে  মাঝেই আত্ম্নাতে  চিৎকার করে উঠে বলেন…
          “খোকা…ও…খোকা
            একবার মায়ের বুকে আয়
            তোর কপালে একটা চুমু দিয়ে দেই
            কত দিন যে তোকে আদর করি না…!!!”


হঠাৎ একদিন মা’য়ের  আত্ম্নাতে স্থির হয়ে গেল
সেই দিন চোখ বন্ধ করে মা’ খুঁজে পেল””তার খোকাকে””
          ঐ দূর থেকে খোকা
          রক্ত মাখা হাতে মা’কে ডাকছে….।।