কোন একদিন আমি
বসন্তের ঝরা পাতা হয়ে ঝরে যাবো,
হারিয়ে যাবো দূর নীলিমার আকাশে
লক্ষ-কোটি তাঁরাদের মাঝে।
সেদিন,এই জগৎ সংসারে
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠবে উঠান
দক্ষিণা বাতাসে দুলবে ক্ষেত ভরা ধান।
শ্রাবণের রিমঝিম বৃষ্টিতে মুক্ত ওই আকাশে
মনের সুখে পেখম মেলে ময়ূরপঙ্খী নৃত্য করবে
শিমুলের হিংল বনে ফুটবে বসন্তের অগ্নিঝরা ফুল,
চারিদিকে সুবাস ছড়াবে আম্রকানের মুকুল।
আম্রকানের মুকুলের গন্ধ পেয়ে সুমধুর গুঞ্জনে
মৌ-পাপিয়া পুষ্প কলিতে করবে হুলুস্থুল।
শিউলি,বকুল,কদম,কেয়া আর হাসনাহেনা
ডালে ডালে নব রূপে সাজিয়ে বরণ ডালা
ঋতুরাজ বসন্তকে পড়াবে গলায় মালা।
গাছে গাছে কোকিল মিষ্টি মধুর সুরে ডাকবে
রাখাল ছেলে বাজাবে মোহন সুরের বাঁশি।
বসন্তের মেঘ কোজাগরী রাতে-
লক্ষ্মীপেঁচারা ঝাঁকে ঝাঁকে আলোর প্রদীপ নিয়ে
ফিরে যাবে তাদের আপন নীড়ে।
পার্থিব নিয়মে সেদিন এই ধরাতে রয়ে যাবে সবই
কেবল পাতা হয়ে ঝরে যাবো আমি।