সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামল আমাদের এই দেশ,
রংধনু সাত রঙের মেলা নীল আকাশের বেশ।
শিশির ভেজা ঘাসের শোভা থেকে যায় তার রেশ,
এমন অপরূপ লীলাভূমির রূপের নেইতো শেষ।


যে দেশেতে নেইকো বিভেদ হিন্দু-মুসলমান,
মিলে মিশে থাকি সবাই গাহি সাম্যের গান।
দোল খেয়ে যায় সোনালী ফসল শিশির ভেজা ধান,
এমন অপরূপ দৃশ্য দেখে জুড়াই মোদের প্রাণ!


দূর নীলিমায় মেঘের ভেলায় মেঘ দূতেরা ভাসে,
মেঘের মাঝে সূয্যি মামা কিরণ জ্বেলে হাসে।
মায়ের পরশে হৃদয় হরষে ভুলে যায় সব দুখ!
মাতৃভূমির বায়ুর পরশে হৃদয়ে আসে সুখ।


যার পরশে মাটির দেহ হয় যে মোদের খাঁটি,
সে তো মোদের মাতৃভূমি শয়নের শীতল পাটি।
গাছ-গাছালি তরুলতা নিবিড় ঘন বন,
ফুলে ফলে নদীর জলে ব্যাকুল করে মন।


কৃষক-শ্রমিক কামার-কুমার মাতৃভূমির প্রাণ!
মাতৃভূমির ভালোবেসে জীবন দেয় বলিদান।
মাতৃভূমির মুক্ত আকাশ মনটা নেয় যে কেড়ে,
শত বাসন্তীর কোকিলের ডাকে প্রাণটা যায় জুড়ে।


দোয়েলের শিসে ফিঙে নাচে টিয়া ধরে গান,
ব্যাঙের রানীর ঘ্যাঙর ডাকে আসে বৃষ্টির বান।
নদী-নালা ঝর্ণাধারা খোদার দেওয়া দান,
এমন অপরূপ মাতৃভূমির আছে অধিক মান।


সুপ্রভাতে ঘুম ভেঙে যায় পাখির মধুর ডাকে,
মনের সুখে চিত্র কারিগর দেশের ছবি আঁকে।
ছয় ঋতু তার চেতনা ঘেরা চির সবুজের দেশ,
এমন অপরূপ লীলাভূমির রুপের নেইতো শেষ।