আমি আজ চলে যাচ্ছি তোমার শহর ছেড়ে
নিঃসঙ্গ বৈরাগী বেশে বুক ভরা ব্যথা নিয়ে
দূর থেকে বহুদূরে অজানা গন্তব্যে পথে
হয়তো বা কোন দিন আর ফিরে আসব না,
তোমার ভালোবাসার যানজট শহরে।
তোমার ভালোবাসার শহর ছিল আমার কাছে
পরম সুখের ঠিকানা,ভালোবাসার মায়াজালে ঘেরা।
আমি যেদিন তোমার শহরে এসেছিলাম,
সেদিন টিপটাপ বৃষ্টি পড়ছিল তোমার শহরে
রজনীগন্ধা বৃষ্টিতে ভিজে সুমধুর ঘ্রাণ ছড়াচ্ছিল
রাতের আকাশে নক্ষত্র মিটিমিটি জ্বলছিল
স্নিগ্ধময় জ্যোৎস্না নেমেছিল অমাবস্যা রাতে
মৃদুল হাওয়া বয় ছিল মুক্ত আকাশে।
আমি বসাবস করতে চেয়েছিলাম,
তোমার ওই ভালোবাসার শহরে
যখন পূর্ণিমা চাঁদের আলৌকিক জ্যোৎস্না
চুমু দিয়েছিল মফস্বিল মানবের জাগরণী ঠোঁটে।
বসন্তের কোকিল ডাকছিল সুমধুর কন্ঠে
গাছে গাছে ফুটেছিল পলাশ,বকুল,কদম,কেয়া ফুল।
তুমি লুকিয়ে ছিলে বরণ্যভূমির পাদদেশে
তখন আমি নীলাঞ্জনা নাম ধরে তোমাকে ডাকছিলাম
কিন্তু তুমি প্রেয়সী সেদিন আমার ডাকে
একটি বারও সাড়া দিলে না।
তোমার শহরে তোমাকে যদি খুঁজে নায় পেলাম
কেনোই বা আমি একাকী তোমার শহরে বসবাস করব?
বুক ভরা কষ্ট নিয়ে আমি চলে যাচ্ছি
তোমার শহর ছেড়ে অজানা গন্তব্যর পথে
ভালো থেকো তুমি,তোমার ভালোবাসার শহরে।
তোমার শূণ্যতায় আজ আমার চোখের মণিকোঠায়
রক্তের নোনা জল জমাট বেঁধেছে।
বৃক্ষ পল্লব গুটিয়ে নিয়েছে ডালপালা
তোমার শহরে তোমাকে দেখা না পাওয়ার তরে
আমার বুকে গহিনে বেড়েছে কষ্টের জ্বালা।
তোমার শূন্যতায় সুপ্রভাতে গাহক পাখিরা
কিচিরমির মিষ্টি মধুর সুরে আর ডাকে না,
তোমার শহর কালো মেঘে গেছে ঢেকে
তোমার শূন্যতায় এই শহরে নেমেছে হাহাকার!
একদিন আমিও ছিলাম তোমার শহরের বাসিন্দা
যখন আমি তোমার প্রেমে ছিলাম তুমুল মোহিত।