আমি অনন্তকাল ধরে হাঁটতে চাই
রূপসী বাংলার ওই মেঠো পথে,
যে পথের কাঁদামাটির গন্ধের রেশ
এখনো লেগে আছে আমার গায়ে।
আমি অনন্তকাল ধরে শুনতে চাই
শতশত নদীর জল তরঙ্গের কলতান,
যে কলতান শুনে মুগ্ধ করে প্রাণ।
আমি অনন্তকাল ধরে দেখতে চাই
নদীর বুকে জমে ওঠা ওই বালুচর,
যে বালুচরে ফসল ফলানোর তরে
ব্যস্ত হয়ে পড়ে পল্লী গাঁয়ের কৃষক।
আমি অনন্তকাল ধরে থাকতে চাই
চির সবুজের অপরূপ বরেণ্য ভূমির  
শিশির ভেজা নরম দূর্বা ঘাসের বুকে,
যে ঘাসের বুকে জমে থাকা শিশির
আজও লেগে আছে আমার পায়ে।
আমি অনন্তকাল বসে থাকতে চাই
নিবিড় ঘনবন কিংবা বটবৃক্ষের ছায়ার নিচে,
যে বটবৃক্ষের ছায়ার নিচে গ্রীষ্মের দুপুরে
ক্লান্ত পথিক তার উষ্ণ প্রাণটা জুড়ায়।
আমি অনন্তকাল ধরে উড়তে চাই
দূর নীলিমার মুক্ত আকাশের দিকে,
পাখিদের ডানা মেলে কিংবা শঙ্খমালার বেশে।
আমি অনন্তকাল ধরে মিশে থাকতে চাই
রূপসী বাংলার পণ্যে ভরা লোকালয়ে
কিংবা হাজার জনতা ভীড়ে।