আষাঢ় এলে তরুলতা খিলখিলিয়ে হাসে
মনের সুখে কচুরপাতা বানের জলে ভাসে।
শুভ্র সাজে ধরার মাঝে কদম,কেয়া ফুল
ফুলবাগিচায় মৌমাছিরা করে হুলুস্থুল।


ব্যাঙের রানীর লাফালাফি মনমাতানো খেলা
তাই না দেখে মিষ্টি মেয়ে কাটিয়ে দেয় বেলা।
খেলার ছলে পুকুর জলে ভাসায় পাতার তরী
বাড়ি ফিরে এসে সাজে নীল আকাশের পরী।


রাখালিয়া বাঁশি বাজায় সবুজ বনের বাঁকে
পাখপাখালি লুকিয়ে থাকে সবুজ পাতার ফাঁকে।
নদীর বুকে জলতরঙ্গ গর্জন দিয়ে ওঠে
কোন অজানা সুখের আশায় নিরবধি ছোটে।


বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর ঘরের টিনের চালে
উদোম গাঁয়ে মাঝির নায়ে কদম গাছের ডালে।
খেলার মাঠে মেলার মাঠে দূর্বাঘাসের বনে
পল্লীগাঁয়ের দুষ্টচপল মেঘবালিকার মনে।