খোদা মহীয়ান দয়ালু মহান গাহি তোমারই গুণগান,
তোমার সৃজনে এই যে ভুবনে মানব জাতি পেয়েছে
মাখলুকাতের শ্রেষ্ঠ সম্মান!
হিন্দু-মুসলমান ওহে গারো খাসিয়ান,
যপো সবে তোমরা যপো খোদার‌ই নাম!
একই খোদার গড়া মাটির মানব মোরা,
তবে কেন আজ মোরা জাতি ধর্মে বর্ণচোরা।
আদম হাওয়াতে পূর্ণ এই যে পৃথিবী ধারা,
সৃষ্টিকুলের মাঝে নাহি কোনো ভেদাভেদ,
মানব জাতির মাঝে নাহি কোনো ছেদ।
মানব সৃজনে আছে কি মনে?
ইবলিশ হয়েছে শয়তান!
রাখেনি সে কোথাও ফাঁকা,
সেজদায় নত করেছে মাথা,
কেবল তাহার ছিল ভুল,
মানেনি মানব জাতি পৃথিবীর মূল
মনেতে নিয়ে ব্যথা!মানেনি সে খোদার‌ কথা,
বলেছি কি আমি মিথ্যা ?
জিজ্ঞাসা করে দেখ‌ও তোমার আত্মাকে,
কে তোমার সঠিক সত্তা?
মানব জাতির জন্য ইবলিশ শয়তান হয়েছে ফেরেশতাকুল হতে ভিন্ন,
তাই সে খোদার‌ করেছিল অমান্য।
নিখিল এই ধরণী নদী-নালা ঝর্ণাধারা
সব‌ই খোদার হাতের ইশারা।
পাঠালেন তিনি যুগে যুগে শত নবী
নিদ নাহি তাহাদের চোখেতে,
ধ্যানে মগ্ন ছিল তারা হেরা গুহাতে,
যপে তারা খোদার‌ই নাম এই যে মহিতে।
পড়ে দেখো কোরআন-পুরাণ কিংবা বেদ,
উহাতে আছে কি খোদার ভেদাভেদ?
মানব সৃজলেন যিনি মাটির গড়া দেহ খানি,
শোনালেন তিনি গ্রন্থের বাণী
মানবের মাঝে নাহি ভেদাভেদ,
জাতি বর্ণের মাঝে নাহি কোন ছেদ।
সকালে তোমরা সকলের তরে,
তাহলে কেন তুমি করো হেলা,
খোদার গোলামীর বেলা।
দেখো তুমি চেয়ে গরিব দুঃখীর ঘরে,
আছে কি তাদের নীড়ে কেউ অনাহারে?
মমতা বিভোরে সকলে সকলের তরে
দুটি হাত তুলে প্রার্থনা ধরে,
শিরে মাথা করে নত খোদার‌ই দরবারে।
শত শত ভুল নিয়ে ধ্যানে মশগুল হয়ে,
অশ্রু ভেজা জলে দুটি হাত তুলে চাইবে পাপের ক্ষমা।
জাতিতে জাতিতে কেন হানাহানি,
জীবন ভবের মাঝে খুনাখুনি
এত নাহি খোদার বাণী।
জীবন তরী এই ভবের মাঝে বিধাতা করেছেন দান,
তামাম জাহান,চন্দ্র,সূর্য,সাত আসমান করেছেন তা মানবের চিরকল্যাণ।