কোন এক প্রভাতীক্ষণে একাকী নীরবে স্যান্নাসী বেশে,
ঝড়বৃষ্টি মাথায় করে ঘুরতে এলাম চির সবুজের দেশে।
যে দেশের চির সবুজের গন্ধ লেগে আছে আমার গায়ে,
দূর্বাঘাসের ঐ শিশিরকণা লেগে আছে আমার পায়ে।


যে দেশের ভূখণ্ডে মুঠিভরা ফসলের বিমোহিত হাসি,
সোনার বরণ খেত-খামারে ছেয়ে যায় রাশি রাশি।
দখিনা পবন পরশে হেলে দুলে নাচে খেতের পাকা ধান,
দিবানিশি বাজনা বাজিয়ে গাই তারা দেশের জয় গান।


যে দেশের বুকে কোন এক অজানা স্বপ্নজয়ের তরে,
অভাগা কৃষক-কৃষানি দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে।
সবুজ সতেজ সৃষ্টি ধরা আর রূপসী বাংলার সম্মান,
টিকিয়ে রাখতে ওরা তপ্ত দুপুরে জীবন করে বলিদান।


বাংলার অভুক্ত মাটি চৌচির করতে শক্ত করে ধরে হাল,
ফসল ফলানোর তরে মাটিকে আগলে রাখে চিরকাল।
আমি সেই অভাগা কৃষক-কৃষানির চির সবুজের দেশে,
অনন্তকাল ধরে হাজার জনতা ভিড়ে থাকতে চায় মিশে।