মাগো যদি পাখি হতাম উড়ে যেতাম দূরে,
রোজ সকালে আমি ডাকতাম মিষ্টি মধুর সুরে।
দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতাম দু'টি ডানা মেলে,
ক্লান্ত মনের তৃষ্ণা মিটাতাম কৃষ্ণা নদীর জলে।


মাঝির নৌকার চূড়ায় বসে ভাসতাম নদীর স্রোতে,
মনের সুখে গান ধরিতাম মাঝি ভাইয়ের সাথে।
মলয় পাহাড় পাড়ি দিতাম উদ্যম নাবিক বেশে,
চীনের প্রাচীর ভেদ করিতাম মেঘের ভেলায় ভেসে।


আরব ভূমি দেখে আসতাম এক পলকের তরে,
বিকাল বেলা ঘুরতে যেতাম নদীর বালুচরে।
কৃষক বেশে সুর ধরিতাম সবুজ বনের বাঁকে,
অনন্তকাল লুকিয়ে থাকতাম সবুজ পাতার ফাঁকে।


দূর্বা ঘাসের ডগায় বসে শুকতাম মাটির গন্ধ,
ঘুঙুর পায়ে কাঁদার গায়ে লিখতাম কবির ছন্দ।
পাকা ফলের গন্ধ পেয়ে ছুটতাম গাছে গাছে,
তৃপ্তি করে খাওয়ার তরে যেতাম ফলের কাছে‌।


ছোট্ট একটা ঘর বাঁধিতাম কদম গাছের ডালে,
কোকিল সনে ভাব করিতাম ঋতু বসন্তকালে।
দেশ-বিদেশের মায়া ছেড়ে অচিন সুখের তরে,
সন্ধ্যা বেলা ফিরে আসতাম আমার ছোট্ট ঘরে।