নীলাঞ্জনা আমাকে কেনো একলা ফেলে
তুমি চলে গেলে দূর থেকে বহুদূরে,
জানি,তুমি আর কখনও ফিরে আসবে না আমার শহরে।
তব অনুগমনের প্রহরে একটিবারও
আমার দিকে ফিরে তাকালে না
চিন্তা করলে না,কালের বিবর্তনে কত প্রেমিক
আত্মহত্যা করেছে ধু ধু মরুভূমির নির্জন নিরালায়
মনের কষ্টে ঝাঁপ দিয়েছে পাহাড়,পর্বতের টিলা থেকে
ব্যর্থতার তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে
নিজের বুকে চালিয়েছে ধারালো খঞ্জর
যন্ত্রণার অনলে উত্তপ্ত আগুনে পুড়ে ছাই করেছ
রক্তে মাংসে গড়া দেহ খানি।


নিবেদিত হতে হতে নারীকে চিনেছে যে সাধীত পুরুষ
যার বুকে জমে ওঠে ছিল পলিমাটির গোলাপ বাগান
সেখানে যেনো শুধুই ধু ধু মরুভূমির ঘাতকের প্রাণ।


নীলাঞ্জনা তব শূন্যতায় মম ব্যথিত হৃদয় নীরবে কাঁদে
নির্ঘুম দুটি চোখ সারারাত জেগে থাকে
শুধু তোমার ফেরার অপেক্ষায়।
আমার বুকে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে,
যে আগুন শ্রাবণের মেঘ-বৃষ্টি নেভাতে গিয়ে
ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে তার আপন ঠিকানায়।


নীলাঞ্জনা তব শূন্যতায় মন্থরচিত্রে দূর নীলিমার
মুক্ত আকাশ বৈশাখের ঘন কালো মেঘে গেছে ঢেকে;
নীড়হারা পাখি গুলো ব্যাথা ভরা মন নিয়ে
সাঁঝের বেলায় ফিরে গেছে আপন নীড়ে।
আমি বসন্ত থেকে বসন্ত শুধুই তোমার অপেক্ষায়;
চাতক পাখির মত পথ চেয়ে বসে থাকি
তোমাকে পাগলের মত খুঁজি চন্দ্রলোকের অচিনপুরে
সাত সমুদ্র তেরো নদীর অকূল দরিয়ার বুকে।