রাখাল চলেছে ধেনু চারণে তেপান্তরের মাঠে
মনের সুখে বাঁশরী বাজিয়ে ব্যস্ত সময় তার কাটে।
মধুর সুরে মোহন বাঁশি বাজায় রাখাল রাজ,
মন মাতানো বাঁশির সুরে চাষিরা করে কাজ।

দক্ষিনা হাওয়ায় ভেসে আসে রাখালের বাঁশির সুর, বাঁশির সুরে বিভোর হয়ে মন ছুটে যায় অচিনপুর।
ঘাসের পরশে রাখাল হরষে ধেনু পালে তার সুখ,
মোহন বাঁশির প্রেমের সুর বাজায় তাহার মুখ।


চাঁদের মত রুপ যে তাহার রাধা কৃষ্ণের বেশ,
সূর্যর আলোয় ঝলক মারে কুঞ্চিত তার কেশ।
মিষ্টি তাহার মুখের হাসি কন্ঠে মধুর সুর,
মধুর সুরের প্রেমে পড়ে রূপকুমারী হুর।


রাখাল রাজের বাঁশির সুরে সন্ধ্যা নেমে আসে,
উদাস হয়ে রূপ কুমারী শুভ্র দাতে হাসে।
কি সাজে আজ সাজালে তাহার মন বসে না ঘরে,
মন ছুটে যায় ব্যাকুল হয়ে রাখাল তব তরে।


রাখাল বাজায় মোহন বাঁশি সবুজ বনের বাঁকে,
বিভোর হয়ে রুপ কুমারী রাখালের ছবি আঁকে।
ঈশান কোণে মেঘ জমেছে গোধূলি সন্ধ্যা বেলা,
ক্লান্ত মনে ধেনু ফেরাতে রাখাল করেনি হেলা।


কুমারী ডাকিলো রাখাল রাজের নেবে কি তব সাথে,
মোহন বাঁশির করুণ সুরে ঘুম আসে না মোর রাতে।
রাখাল চমকে তাকালো পিছনে কে ডাকিলো মোরে, রাতের আঁধারে মেঘের আড়ালে ডাকে কে‌ অগোচরে


রুপ কুমারী মেঘের আড়ালে মায়াবী রূপের বেশে, রাখালের প্রেমে মত্ত হয়ে আকাশ থেকে নেমে আসে।
লাবণ্যময় রূপের বাহার রামধনু তার সাজ ,
রূপ কুমারী প্রেমের রূপে মুগ্ধ রাখাল রাজ।