কত দেশ কত নদ-নদী,ঘুরে দেখেছি আমি নিরবধী
কত দেশের গন্ধ পেয়ে,কত দেশের গুনগান গেয়ে
সেই পরম সুখ আমি কোথাও খুঁজে পায়নি।
চির সবুজের অপরূপ বরেণ্য ভূমির রূপসী বাংলার
মুক্ত আকাশ দখিনা বাতাস সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামল
প্রকৃতির সাথে মিশে সেই পরম সুখ খুঁজে পেয়েছি।
যেথায় স্নিগ্ধ হাওয়ার সুপ্রভাতে কিচিরমির ছলে পাখিরা ডাকে
পুব আকাশের মিষ্টি রোদ ঘরের জানালায় আচড়ে পড়ে
সবুজ পাতার ফাঁকে দোয়েল-কোয়েল লুকোচুড়ি খেলে
ঘাস ফংড়িয়ে পেখম মেলে মনের সুখে নৃত্য করে
ঝোপের আড়ালে নীরবে হাসে লাল নীল প্রজাপতির দল
বারো মাসে মিষ্টি পাকা ফল-ফলাদি সুমধুর গন্ধ ছড়ায়;
গাছে গাছে বসন্তের কোকিল কুহু কুহু সুরে ডাকে
পাশের হাওড়-বাওড় পুকুর-ডোবায় রাজহংসী আর
মাঝি ভাইদের পাল তোলা ওই নাও নীরব ভাসে।
এমন অপরূপ দৃশ্য সে তো রূপকথার দেশ নয়
সে আমার সোনার বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় রূপ;
দিগন্ত জোড়া চির সবুজের ধান কাউনের মাঠের ফসল
শিশির ভেজা পাকা ধানের গন্ধে রেশ মুগ্ধ করে প্রাণ।
গ্রীষ্মের উষ্ণতার মাঝে ক্লান্ত পথিক বটবৃক্ষের ছায়ার তলে বিশ্রাম নেয়
বিভোর হয়ে সেখানে রাখাল বাজায় মোহন সুরের বাঁশি।
বিকালে সোনালী মিষ্টি রৌদ্র নীরবে আমায় ডাকে আর বলে,
এসো এসো নতুন আলোর আহ্বানে ঘুরে আসি গোধূলি লগ্নে
যেখানে মিশে গেছে পশ্চিম দিগন্তে সূর্যের রক্তিমা আভা।
যেখানে রূপসী বাংলার রাতের আকাশে জোনাকি মিটিমিটি জ্বলে
পূর্ণিমা রাতে রূপালী চাঁদ জোছনা ছড়ায়;
আহ!কি অপরূপ চির সবুজের রূপসী বাংলার মুখ
যা দেখে আমার হৃদয়ে আসে সুখ।