শরৎরানী তুমি নদীর তীরের শুভ্র সাজের কাশফুল,
তোমার-ই আগমনে মুগ্ধ রূপসী বাংলার কবিকুল।
তোমার রূপের গুনগান গেয়ে কত কবি হয়েছে মহান,
তারা মানব জাতির কাছে পেয়েছে কবিত্বের সম্মান।


শরৎরানী তুমি ওই মুক্ত গগনের রংধনু সাত রঙ,
প্রকৃতির মাঝে সুন্দর আভরণ সবাই তোমার ঢঙ।
তোমার রূপের মাধুর্য লুকিয়ে আছে কাশবনে ঘাসবনে,
তোমার ওই রংবাহারি রূপ দেখি সদা শয়নে,স্বপনে।


শরৎরাণী তুমি শিশির ভেজা শিউলি ফুলের সৌন্দর্য,
এক নিমিষে ভুলিয়ে দেওয়া মানব মনের সকল কদর্য।
তোমার অপরূপ রূপের মাঝে হিয়া চাই হারিয়ে যেতে,
তোমার রূপে মুগ্ধ হয়ে কাব্য লিখি শিশির ঝরা প্রাতে।


শরৎরানী তুমি ওই দূর নীলিমার মুক্ত আকাশ,
ক্লান্ত পথিকের প্রাণ জুড়ানো দক্ষিণা বাতাস।
বিলে-ঝিলে শাপলা শালুকের বিমোহিত হাসি,
প্রকৃতির কাছে স্নিগ্ধ-সজীবতা শোভনা প্রেয়সী।


শরৎরানী তুমি বিধাতার অপরূপ সৌন্দর্যময় সৃষ্টি,
রূপসী বাংলার মেঘলা আকাশের রিমঝিম বৃষ্টি।
শাপলা শালুক পদ্ম জুঁই কদম কেয়া ফুলের হাসি,
তাইতো তোমার রূপে মুগ্ধ হয়ে তোমায় ভালবাসি।