শুনেছি,
নদীর পাড়ে যাদের বাড়ি তাদের মনটা নাকি অনেক পাষাণ হয়।
কই, তোমাকে দেখেতো আমার তেমনটিতো মনে হয়নি কখনো।
বরং, তুমিতো ছিলে বড়ই মায়াবী।
তোমার মনটা ছিল তুলার চেয়েও কোমলময়।
তোমার সেই কোমল মনের মায়াজালে কবে যে ফেঁসে গিয়েছিলাম
ঠাহর করতে পারিনি কোনভাবেই।
সদ্য যৌবনা তুমি,
ছিলে রুপে গুণে ঠিক যেন পদ্মরানি।
আমার মলয় পরিপূর্ণ করতে চেয়েছিলাম তোমার পুষ্পপত্র দিয়ে।
তোমার ঠোটের হাসিতে মুহুর্তেই ভেষে যেতাম নদীর স্রোতধারার মত।
কারো হাসিতে যে এতো মায়া থাকতে পারে
তোমাকে না দেখলে, বুঝতে পারতাম না কখনই।
প্রতিনিয়ত ইচ্ছে হতো আমার ওষ্ঠ চিহ্ন এঁকে দেই তোমার ঐ বদনভূমিতে।
কোন পুরুষকে খুন করতে তোমার বাচনভঙ্গি আর ঐ নেশা ভরা ডাগর চোখের চাহনিই ছিল যথেষ্ট।
আহা! কি যাদুই না ছিল তোমার মাঝে?
তোমার হাসিতে, তোমার চোখেতে।
যে যাদুর প্রভাবে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিল আমার মন মাঝি।
তোমার মোহনায় মিশে যেতে ব্যাকুল হয়ে গিয়েছিলাম আমি।
তুমি ছিলে শুভ্রতায় অনন্যা।
তোমার সাথে মধুর স্মৃতিতে ছিলাম আমি অপ্রতিম।
দু’চোখে ছিল আমার রঙ্গিন স্বপ্ন।
কতদিন যে ঘর বেঁধেছি আমার কল্পালোকে!
সেখানে প্রতিরাতেই স্বপ্নচারিনি হয়ে ঘুরে বেড়াতে তুমি।
তোমার পায়ের মলের ঝঙ্কারে মুখরিত ছিল আমার জীবন।
যেন খুঁজে পেয়েছিলাম অনন্ত পথের ঠিকানা।
পৃথিবীর সমস্ত সুখ ছিল আমার হাতের মুঠোয়।
শুধু জানতে না তুমি।
বলতে পার জানাতে পারিনি।
তোমাকে জীবনের চেয়েও অধিক ভালবেসে ফেলেছিলাম
একথা বুঝতেই যে সময় লেগেছিল ঢের বেশি।
যখন বুঝেছি, তখন তুমি হারিয়ে গিয়েছ ঘোর অমানিশায়।
তাই বলা হয়ে ওঠেনি কোন কিছুই।
আমার ভালবাসা অব্যাক্তই রয়ে গেল।
জগৎ কারিগরের লীলাখেলায় বাস্তবতার এক কঠিন ঝড়ে ভেঙ্গে চুড়মার হয়ে গেল সব স্বপ্ন।
খড়কুটার মত ভেষে গেল সব মুহুর্তেই।
হারিয়ে ফেললাম জীবনের খেই,
হারালাম তোমাকে।
স্বপ্নটা আমার স্বপ্নই রয়ে গেল।
তুমি শুধু রইলে না আমার।
জীবনের আজ অন্তিম কাল!
মাঝে পাড়ি দিয়েছি দীর্ঘ পথ!
অথচ, তোমাকে নিয়ে দেখা সেই রঙ্গিন স্বপ্ন আজও উঁকি দেয় আমার মনে।
প্রায় রাতেই ঘুমের ঘোরে দেখা দাও তুমি।
মাঝরাতে ঘুমের চাদরে ঢাকা আমার অবচেতন মন আজও খুঁজে ফেরে তোমাকে।
চিৎকার করে বলতে চায় আমার অব্যাক্ত ভালবাসার কথা।
আজও শুনতে পাই তোমার সেই হাসির শব্দ আর মলের ঝঙ্কার।
তোমার স্মৃতিগুলো আজও অমলিন, কড়া নারে আমার দ্বারে।
শুধু, পাশে পাই না তোমাকে।