আদৌ কি রাত পোহাবে, পাঞ্জেরী!
না কি পোহাবে না
অপেক্ষার প্রহর যে আর কাটছে না
মনে সদা সংশয়
মিটবে কি এই সংকীর্ণ মনের পিয়াস
বৃথা যাবে নাতো আমাদের আর্তনাদ
আর কি হবে না প্রভাত ফেরির গান
কেউ কি যাবে না গাদা ফুলের মালা নিয়ে শহীদ মিনারে
জানাবে না শ্রদ্ধা বিনম্রভরে
গাইবে না ভাই হারা ২১শের গান
গাইবে না রণ সংগীত সমস্বরে
হাতে হাত রেখে নামবেনা রাজপথে
জমবে না মুক্ত মঞ্চ সোহরাওয়ার্দী কিংবা রমনায়
কৃতজ্ঞতার পালা কি তবে ফুরিয়ে এলো, পাঞ্জেরী!
তবে কি আমরা ভাসছি ভুল তরণীতে
নাকি রয়েছি নিছকই মিথ্যে আলোর আশায়
পূর্বাশার আলো কি তবে শুধুই মরিচীকা
দেখতে কি পাচ্ছ ঝান্ডা হাতে মুক্তির মশাল
কথা বলছো না কেন পাঞ্জেরী
বলো!
হলেম না হয় জন্মগতভাবেই বাঙালী
নাইবা অর্জন করলাম স্বাধীনতা, নাইবা দিলাম রক্ত
তাই বলে কি দেখবো না নিষ্কলুষ সকাল
পাব না দেখা কোন কান্ডারীর
অকাতরে শুধুই দিয়ে যাব গণ কবর
ভাড়ী করবো বিদীর্ণ জনপথ
ঝুলন্ত লাশের গন্ধে দূষিত হবে বাংলার বাতাস
কেবলি কি করে যাব একটি নতুন প্রভাতের আহাজারি
কি হলো পাঞ্জেরী, তুমি কি আজও রইবে নীরব, পাঞ্জেরী!
তুমি কি শুনতে পাওনা নিপিড়ীতের আকুতি
দেখতে পাওনা ভয়ে জড়সড় হয়ে যাওয়া চোখগুলো
মনে যে আমাদের উত্তাল সমুদ্র সম ঢেউ
তবে কি তলিয়ে যাব অথৈ সাগরে
পাব না খুঁজে কোন কিনারা
আজন্ম বয়ে যাব অসত্যের দার
একটা!
হ্যা, শুধু একটা নতুন ভোরের অপেক্ষায়
তবে কি কেটে যাবে আবারও অনন্তকাল
দোহাই লাগে পাঞ্জেরী, এবার জাগো!
ভেঙে ফেল তোমার অভিমান
কর লোপাট সব শৃঙ্খল
আমরা যে আজ বড্ড নিরুপায়
বড্ড ক্লান্ত, পাঞ্জেরী!
একটিবার.., হ্যা, শুধু একটিবার ডাকো
আমরা যে তোমার লড়াকু সন্তান
জমা দিয়েছি অস্ত্র তবুও যুদ্ধ  ভুলি নাই
মুখিয়ে আছি ছিড়ে ফেলতে মিথ্যের মায়াজাল
বুকেতে জন্মভূমি
মাথায় মায়ের আঁচল
সতেজ করিবো রণভূমি
সজীব করিবো নবীন প্রাণ
দলিব যত মিথ্যের বেসাতি গাহিব সত্যেরই জয়গান।