আমি সন্ন্যাসী!
আমি হতে এসেছি এক মহানায়ক।
আমি জলন্ত লাভার সুপ্ত আগ্নেয়গিরি
আমার নেই কোন পিছুটান।
আমি নির্ভীক।
আপনার বুক চেতিয়া হাঁটি সর্বক্ষণ।
আমি মুক্ত
আমি স্বাধীন।
আমি ক্ষণজন্মা।
আমি একাই একটি মহাকাব্য।
আমি একাই জাতিরে করিবো উদ্ধার
ছাপিয়ে একাত্তরের মনান্তর
আনিয়া দিব মুক্তি কুণ্ঠিত মানুষেরে
ভেঙ্গে ৫০ এর কারাগার।
আমি অবলার না বলা কথা
আমি সাধারণের কমান্ডো।
আমি প্রতিটা শহিদের বুকের রক্তের উত্তপ্ত কণা
বীরাঙ্গনার আর্তনাদ
আমি পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার হতাশার হাহাকার
আমি দু:সাহসিক।
আমি রণক্ষেত্রে বেঁচে থাকা একজন সৈনিকের
সর্বশেষ বুলেট
অতপর যুদ্ধ জয়ের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর।
আমি পাথরের বুক চিরে ওঠা সেই অদম্য মৃত্তিকা
সকল জগীঠাকুরের বক্ষ করিবো ছেঁদ।
আমি বুল্ডজার
রক্ষকবেশি ভক্ষকের গুহা চূর্ণি করিবো সব একাকার।
আমি তুরপুন
কুচক্রী আর মূখোশধারী শয়তানের আবক্ষ করিবো ছিন্নভিন্ন।
আমি মহাস্রোতের বেড়িবাঁধ।
ভেসে যেতে দিব না আর কোন সহজ-সরল প্রাণ
আমি দুঃখিনী মায়ের আঁচল
শেষ আলো জলন্ত শিখার
আমি তাঁদের স্বপ্ন বাঁচাতে করি
বজ্রের ন্যায় হুংকার।
আমি মহাপ্রলয়ের মহাবাণী
আমি মহাপুরুষ
করি না আপনারে লয়ে অহংকার।
আমি প্রবল ঝড়ে টিকে থাকা
বৃদ্ধার শেষ সম্বল
তপ্ত মরুভূমিতে জীবন বাঁচাতে
এক ফোঁটা জল।
আমি জানি না কোন সম্পর্কের মায়াজাল
চাহি না রক্তের অবদান
মানি না কোন অন্ধ আইন।
আমি আপন গরজে উঠি সর্বদা গর্জিয়া
গাহি সাম্যেরই জয়গান।
আমি অসহায়ের দূর্গ
অনিয়মের ত্রাস
আমি অস্থিভঙ্গ করিবো যত
দূর্নিতীবাজদের আবাস।
আমি সন্যাসী।
আমি মহানায়ক।
আমি আপনারে খুঁজিয়া ফিরি না আপন সত্ত্বায়।
আমি সকলের তরে নিবেদিত প্রাণ
বাংলার অদম্য সৈনিক।।