একদা এক মূর্খ আসি কহিলো শিক্ষিতেরে
আমিও হতে চাই সাহিত্যিক, কবি রটাবো নাম তোমাদের মতো করে।
এক গাল হাসিয়া কহিলো শিক্ষিত লোকে
মতিভ্রম হয়েছে নাকি? বিখ্যাত হতে চাস! তা বল, শুনি, কি আছে তোর ঘটে?
তোর ঐ দা কুড়ালের ভাষা বুঝিবে কে?
সাহিত্যিক! কবি! বিখ্যাত হবি! হাঃ হাঃ হাঃ , নিতান্তই ইচ্ছা বটে!
ব্যাটা! হাল চাষ আর দিন মজুরি কর গিয়ে!
কলমের মর্ম বুঝিবি না তুই, সাহিত্য নিয়ে চিন্তা ভাবনা তোর যাবে সব নিপাতে।
মূর্খে এবার ভাবিলো কিছুক্ষণ, সুধাল শিক্ষিতেরে
আচ্ছা! বলোতো বাবু, সাহিত্যে কি কেবলি শিক্ষিতের কথাই লেখা থাকে?
আমাদের গায়ের ঘাম, মাটির সাথে সখ্যতা আর প্রকৃতির সাথে লড়াই কোনই কি দাম নেই তাতে?
সাহিত্যের গল্প কথা, অলংকার আসে কোথা থেকে?
মূর্খ বলে কি নেই আমাদের ভাষা, বুঝিবে না জনে?
তোমরা যারা শিক্ষিত লোক প্রত্যেকে প্রতারক জানো বটে!
শেখোনি কিছুই বিদ্রুপ ছাড়া অবহেলা কর সব্বেরে।
যা কিছু লেখো আর পড়োনা কেন তোমার কি অবদান আছে তাতে?
গলাধঃকরণ করে শিক্ষা অহংকারে মাতো, ভাবোনা মানুষ মূর্খেরে
তোমাদের সাহিত্য যদি ভরা আমাদের কথাতে
আমরা যদি হতে চাই বিখ্যাত, তবে কি দোষ দেখ তুমি এতে?
এহেন কথা শুনিয়া লজ্জায় লাল মুখে ক্ষমা চায় শিক্ষিতে।
মাথা নুইয়ে তার বলে দীর্ঘশ্বাসে...
যারা লিখে বিখ্যাত আজ কিছু নয় তারা তোমাদের তরে
সাহিত্যিক, কবি ও ইতিহাস, তোমরাই সবে।