পৃথিবীটা কেমন নিঃশব্দ হয়ে গেছে আজকাল,
যেন শব্দও ক্লান্ত—আমার মতোই নিঃশেষ।
ঘরের কোণে দাঁড়িয়ে থাকে এক চুপচাপ বিকেল,
আর আমি জানালায় বসে ভাবি—
কতটা নিঃসঙ্গ হলে মানুষ নিজেকেই ভুলে যায়?
ঘড়ির কাঁটা চলে, কিন্তু সময় থেমে গেছে মনে,
একটা দীর্ঘশ্বাস যেন আটকে আছে হৃদয়ের কোনে।
কেউ নেই—একদম কেউ না,
শুধু কিছু পুরনো বই,
কিছু অর্ধেক লেখা চিঠি
আর একটা ম্লান আয়না—যেখানে চোখ রাখতে ভয় পাই।
রাত এলে জানি, কেউ ডাকবে না "ঘুমিয়ে পড়ো",
বালিশে রাখা ফোনও আজকাল নিঃসঙ্গতায় অভ্যস্ত।
তবুও তাকিয়ে থাকি তার দিকে,
যেন হঠাৎ তুমি ফিরে আসবে কোনো এক অলিখিত বার্তায়।
জানালার ওপারেও আর নেই সেই চেনা রোদ,
আকাশ কেমন বিবর্ণ, তারাও কেমন থমথমে।
বৃষ্টি পড়ে, কিন্তু সেই ছাঁদে তোমার পায়ের শব্দ নেই—
সেই শব্দ, যা একসময় আমার দিন শুরু করত।
কেউ যদি জিজ্ঞেস করে—“তুমি একা নাকি?”
হেসে বলি, “না তো, আমি তো নিজেই আমার সঙ্গী।”
কিন্তু জানো, মনের গহীনে
একটা কষ্ট জমে আছে পাথরের মতো—
যা কেউ দেখে না, কেউ ছুঁয়েও দেখে না।
আমি এখন শুধুই এক ঘরভরা নীরবতা,
একটা বাতি—যার আলো টিমটিম করে জ্বলে,
একটা মন—যা শুধু খুঁজে ফেরে সেই অনুপস্থিত স্পর্শ,
আর একটা কবিতা—যা প্রতিদিন জন্ম নেয়,
তোমার না থাকার কথা মনে রেখে।