আমি মৃত্যুর দিকে হেঁটে যাচ্ছি ক্লান্তিহীন
কবরের দুয়ারে চিরিকাল,
বহুল বিলাস গাড়ি আর অট্টালিকা রঙিন পৃথিবী ছেড়ে
যেতে হবে ফিরে অন্ধকার অচিন আঁধারে।
দাদা-দাদী, চাচা-চাচী, নানা-নানী
সবায় যে ছিলেন কত আমার প্রিয়জন,
পারিনি তো তাদের কাউকে ধরে রাখতে
নিষ্ঠুর মায়া মমতা ছেড়ে আমার আলিঙ্গন করেছেন মরণ।
বহুবার দেখেছি কত কাফন, দেখেছি অগণিত কত কবর
বিধাতার সৃষ্টির এই দুটি আঁখি দিয়ে,
আপন প্রিয়জনের কান্নার রোলে পাথর গলে
সৃষ্টিকর্তাকে দেয়া তো যায় না ফাঁকি।
এক এক করে সব পরম আত্মীয় মোর
শোয়াইয়া রেখে আসবে আমায় কঠিন মাটির তলে,
বুকে পাথর বেঁধে পিছনে রেখে
আসবে ফিরে সবে চোখের জলে।
অনেক আনন্দ, অনেক হাসি, অশ্রুময়
বহু লাঞ্চনা-যাতনা, কত যে সুখে ভরা ছিল জীবন
সারা জীবন সুখে দুখে মিলে যদি পারতাম
গড়তে এই পৃথিবীতে অমর আলয়।
পারেনি তো কেউ
প্রকৃতিরই সৌন্দর্যের অমোঘ নিয়ম খন্ডাতে
তবে যতটুকু সময় বাঁচি যেনো তুমি আমি-সবে
এক সঙ্গে কাটাই আনন্দে ধরাতে।
পাই যেন সুখে দুখে
সকলের মাঝে ঠাঁই
প্রতিটি বেলায় তোমার আমার সকলের মাঝে
নব আনন্দের ফুল ফুটাই।
হাসি মুখে বলি আমি
সকলের তরে হায়
যাব চলে একদিন তোমাদের ছেড়ে
যেদিন ফুটানো ফুল আমার যাবে শুকিয়ে।