ঘুম থেকে জেগে উঠেই, পাওয়া হত সুপ্রভাত
অলস সময় সব মুছে দিত, তোমারই যেন দুষ্টু হাত!
মেঘলা আকাশ মধ্য দুপুর, ক্লান্ত শরীরে হেঁটে আসা বহুদূর-
দুঃখকে ভুলে যেত ক্লান্তি যত!
তোমারি সৌম্য-মধুর-দিব্যাঙ্গনায় কী মন্ত্র ছিল?
কেনইবা এমন হত?
সন্ধ্যাটাও শুভ হত গোধূলী শেষে অস্ত রবি
কীসব মনেতে ছন্দ খেলে, যেন ইচ্ছের কবি!
ঝড় তুলিতে রাত গভীরে ল্যাপটপের কী-বোর্ডে
কত না জানি স্বপ্ন বোনা, নিজ আপন ব্যাডে শুয়ে।
অতীতের দিনগুলি সব, ডায়রীতে লেখা শব্দজট,
হৃদয়ের মনিটরে আজও ভাসে,তোমায় নিয়ে দৃশ্যপট।
এমন কি তোমার কোন স্মৃতি ঘুরে নিরন্তর
কল্পলোকে ইচ্ছে সবি বাধঁতে চায় একলা ঘর।
গোধূলী শেষে একাকী সন্ধ্যার ভেতর আগুনরাঙ্গা
যে এতো হাহাকার থাকে, সে তো কখনো বোঝাই হতোনা?
তুমি যদি পৃষ্ঠা পাল্টানোর মতো করে না পাল্টাতে!
সন্ধ্যা আসতো তোমারই চুলের ছায়ায় ছায়ায়,
কখন এসে যে ভোর পৌছে যেতো, টেরই পেতাম না!
সবই এখন টের পাই, গভীর সময়ের মাঝে একটি শূন্যতা,
দীর্ঘশ্বাসে দোলে বাতাসে বাতাসে দীর্ঘ রাত্রি!
চলে যেতে হলো কী কারণে, কোন দিকে কী ভেবে গেলে চলে পথ,
বিস্তারিত কিছুই জানা হলো না।রেখে গিয়েছিলে কী নাম
পড়ছে না তাও মনে! শরীরে লেগে থাকা শুধুই রয়ে গেছে শরীরের ঘ্রাণ,
কোন পুকুরে ঘ্রাণটুকু ধুবো বলে গেলে না তো!
তুমি যাবেই যখন একা কেনো? তবু,
একলা গেলে, একাই গেলে, আমায় নিলে না তো!