=
হিমবাহে উড়িয়ে দাও, তোমার নিশ্বাস৷
শীতে'র প্রকোপ থেকে, বাঁচাও আমায়৷
উত্তপ্ত ঘাই হরিণী-দের বিকৃত চলাচল, আমার-
উদ্যান-কে করছে, শীতল-তর যৌবণ-বিমুখ!
তোমার আগুনে'র ফুলকি'র ভাষাও আমার খামারে৷
আমি পুড়ে ছাই হয়ে যাই, তোমার অগ্নি উপাখ্যানে!
নিরানন্দে'র ছাইভস্মে, এক চিমটি ছোঁয়াও তোমার ফল্গুধারা৷
অ-মূল্য রতন হয়ে, উদ্ভিদে'র ঢালপালা ছড়াই৷
পাখি-দের কলকাকলী-তে ভরাই, প্রেমে'র অ-স্থির বুনো-বাস৷
হয়-তো সন্নিকটে বি-সুখে'র তাজা প্রলাপ৷
তুমি ভাঙ্গলে'ই ভাঙ্গবে, গড়বে প্রসাদ৷
সত্যিকারে'র পূজোয়- সেই প্রসাদ অ-তূল্য, অ-মলিন৷
কূ-জনে-রা চাল করে, মন্ডপ সাজায়- রতি প্রসাদ বিতরণে!
অ-পারঙ্গমতায় নিন্দা'র স্তূপ বিলায়- পবিত্র-কে!
শঙ্খ-নীল কারাগার নির্মাণ বংশগৌরবে৷
তুমি বোঝালে'ই বুঝবে, সত্যে'র বিলাপ৷
স্ব-জাত-মোহ রবি-কর বিশ্বাস৷
বরফে'র প্রাচীর ভেঙ্গে,
উষ্ণতায় ভরিয়ে দাও, সৈকতে'র দোহাই৷
তীরে'র নিস্প্রভ দর্শক হয়ে থেকো-না, তুমি৷
শতো-দহনে'র জ্বালা থেকে,
মুক্তি দাও, এক-টি কাঞ্চি উদ্যান৷
দহনে'র জ্বালায়- বিগলীত মন-কে, আতর জল ছিটাও৷
তোমার অনল বর্ষায়-
ঋতু-চক্রে'র অপেক্ষায়- থেকো-না, কসম তোমার৷
চক্রাবৃত্তি পৃথিবী'র সৃষ্টি বৈচিত্র্যে, নিরন্তর প্রবাহ-জাগা৷
শুধু-মাত্র তোমার ডিজেলে, পোড়াও৷
উত্তপ্ত করো- বায়ুবীয়তায়৷
বৈপরীত্যে'র সকল অবসাদ,
মুক্ত করে দাও, রমনে রমনে৷
জানুক সবাই, শব্দ-হীন চরিত্রে'র ব্যাপার৷৷
=


রচনা-সময়- ১৮/১০/২০১২
=
মার্জিত রূপ-সংস্করণে৷
=