=
মেঘনা, আমার- যৌবণে'র নদী,
অ-ফুরন্ত জলে'র বিহার- সারা-দিন ঢেউ ভাঙ্গে,
অ-সংখ্য প্রকৃতি'র নৌ-যান-বাহনে গতি প্রবাহে,
তারুণ্যে'র দীপ্তি ছড়িয়ে, মেঘনা'র পাড়-কে ঘিরে,
সোহেলে'র প্রেম উতলে ওঠে, সেলিনা'র হৃদয়ে৷
চরে'র মাঠ পেরিয়ে- বক, মাছরাঙ্গা, পানকৌড়ি-দের
ওড়াওড়ি দেখে, দু-চোখ ভরে যেতো- সৌন্দর্য সৌরভে৷
বড়-ষ্টেশন কে ঘিরে প্রমোদ স্পটে, দেখা যেতো-
এক-টি মিনার, এক-টি মসজিদ৷
জনপদে'র কোলাহল প্রশ্রয়ে, আজ আর-
চক্ষু-গোচর হয়-না, সেই মিনার, মসজিদ৷
-------
কালে-ভদ্রে গ্রাম থেকে, যেতাম- মেঘনা দর্শনে আমি৷
মেঘনা'র উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়তো, যখন-
তীরে'র কার্নিশে, তখন- বোধ হতো-
এই বুঝি- নিয়ে গেলো, আমার-
সব সোনালী দুঃখ-গুলো-কে, এক ঝাপটে৷
কিছু'ই নিতে যেতাম-না, তার কাছে৷
কিছু'ই চাইতাম-না৷
যতো-বার যেতাম- মেঘনা'র তীরে,
নীরবতা-কে আলিঙ্গনে, একাকী এক-কোণে,
জনারণ্য থেকে দূরে বসে,
দিগন্তে'র বুক ছিড়ে ছুটে আসা-
প্রশান্ত বাতাসে, শরীর মন জুড়িয়ে নিতাম৷
গলা চেপে, থাকা- জামার বোতাম খুলে দিয়ে৷
বাদাম খেতে খেতে, দেখতাম- দূর ঢাকা হতে,
আগত লঞ্চ ঈগলে'র যাত্রী- বহুরূপী নারী, পুরুষ-কে৷
-------
গভীর রাতে, চাঁদের জোছনায়- আলোকিত মেঘনা-কে,
দেখা'র স্বাদ মিটতো-না, আমার- কোনো-কালে৷
সেই অ-পূর্ণতা-কে, সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসতাম-
নিজ গ্রামে, আপন নিবাসে৷
মেঘনা'ই আমার- সেই অ-পূর্ণতা-কে, ভরিয়ে দিতো-
রাতে'র ঘুমে, স্বপ্নে'র জরিয়াতে৷
তার হিরণ্ময় অনাবিল জল-ধারা'র বহমান-
রিনিঝিনি স্রোতে'র মায়া-তে৷
তারপর- মন-পবনে'র নায়ে, রূপালী পাল- তুলে,
চলে যেতাম- অলৌকিক কোনো- যৌবণে'র ঘাটে৷৷
=
রচনা-সময়- ২৪/০৬/২০১২ (মার্জিত রূপ- সংস্করণে)
=