(এক)


বাজল বীণা সারাবেলা। বীণায় সপ্ত সুর।
বাজল নূপুর ঝুমুর-ঝুমুর সকাল-বিকাল-দুপুর।
এই গল্পের ত্রীচরিত্র-মালী,বীণা,নূপুর।


ফুল ফোটা এক ফুল বাগানে মালী একজনা।
সদ্য ফোটা কূঁড়ি-নূপুর। পূর্ণ ফোটা বীণা।
দুলছে কূঁড়ি পুস্পশাখে মৌসুমি বাতাসে।
পুষছে মালী স্বপ্ন বুকে-কখন পুস্প হাসে।


হঠাৎ ধেয়ে আসল ভীষণ উথাল-পাথাল ঝড়।
হারল মালী। থমকে গেল নূপুর-বীণা, ভাঙল ফুলের ঘর।


(দুই)


গল্প সেথায় শেষ হয় না। আর এক পর্ব আছে।
কঠিন খানিক সময় বাদে আবার বীণা বাজে।
জীবন বটে একটাই হয়। একদিনের তো-না।
তাইতো আবার যুঝতে নামে মুষড়ে পড়া বীণা।


কাটল দিন-হপ্তা-বছর। কাটল কতেক রোদন প্রহর।
রোদন ভুলে যোধন করার শপথ বীণার কঠোর।
বাঁচার লড়ায় অবিরাম সকাল-বিকাল-দুপুর।
পূর্ণ ফোটা বীণার কোলে সদ্য ফোটা নূপুর।


আসলো আর এক নতুন মালী। সুর ধরাল বীণায়।
বাজল নুপুর ঝুমুর-ঝুমুর নবীন প্রাণের আশায়।
জীবণ মানে- আলোক-আঁধার, শ্রান্ত সকাল, উষ্ণতার দুপুর।
এই গল্পের ত্রীচরিত্র-মালী,বীণা,নূপুর।