আভিনব
মনোতোষ কুমার মজুমদার


ছোট্ট ছেলে আভিনব বয়স তাহার আট।
বাবা-মায়ের প্রাণের খুশি, উছল নদীঘাট।
নদীর পাড়ে বাস তাহাদের,চাষ তাহারই পাড়ে।
সব্বনেশে জোয়ার নদী ধ্বংস বারে বারে।
ঝড়ের নেশা সাগর চষা বুক যে দুরু দুরু।
আভিনবর বুকের ব্যথা হল তখন শুরু।
যে ছেলেটার বকম বকম থামতো না যে কভু।
বিছানাতে সে আজ পরে জীবন নিভু নিভু।
হায় ভগবান মিলবে কি ত্রান নদীর ধারে বাস।
জীবন সেতো যুদ্ধ সমান মৃত্যু বারোমাস।
বৃষ্টি প্রবল নদী সবল মাঝিদের নাই দেখা।
ঠিক সময় চিকিৎসাতে যাবে এ প্রাণ রোখা।
ও পাড়েতে গাড়ী বাঁধা আভিনবর জন্যে।
এ পাড়েতে মা-বাবাতে মাঝির খোঁজে হন্যে।
জীবন মৃত্যুর মাঝে পড়ে রাক্ষুসে এই নদী।
ফিরবে না প্রাণ এ ঝর তুফান পার না হওয়া যায় যদি।


যা না চাওয়ার তাই যে হল আভিনব চলে গেল
ঝরলো রঙিন ফুল।
ঘাটে নৌকা বাঁধা ছিল, এ্যাম্বুলেন্সও দাঁড়িয়ে ছিল
কেবল ভাঙ্গল নদীকূল।


ভাঙল আশা , ভাঙল খুশি, ভাঙল হৃদয় মত্ত ঝড়ে।
নদীর ধারের আভিনব এমনই করেই যায় যে মরে।