বৈষম্য
মনোতোষ কুমার মজুমদার


আমার কাছে টাকার পাহাড় তোমার পকেট খালি।
আমি চলি কোট-প্যান্টে তোমার জোরা-তালি।
আমার প্রাসাদোপম অট্টালিকা রঙিন ঝলোমলো।
তোমার ঘরের চাল গড়িয়ে ঢোকে চাঁদের আলো।
রাজার মত চলি আমি কেমন ক্ষমতাবান।
সব হারানো তুমি প্রজা ধুকু -ধুকু প্রাণ।
মার্সিডিজে চড়ে আমি রাস্তা দিয়ে চলি।
থমকে চলা জীবন তোমার পথ যে কানাগলি।
টেবিলে আমার অঢেল খাবার আছে থরে থরে।
তোমার শিশু খাবার বিনে অনাহারে মরে।
এই পৃথিবীর যা কিছু সব আমার কুক্ষিগত।
আমার জোয়াল টানতে তুমি খাটছ অবিরত।
আমার কালনাগিনির ছোঁয়ায় যখন বিষের অগ্নি স্নান।
নীলকণ্ঠ হয়ে তুমি করো পরিত্রাণ।
আমার মনের সংকীর্ণতায় তোমার বলিদান।
তোমার বিশাল মনের আকাশ তলে সেঁকছি আমার প্রাণ।
তোমার আমার মাঝে আছে শত যোজন ফাঁক।
আমার প্রত্যাশারই অগ্নিচুলায় তোমার স্বপ্ন খাঁক।
এমনি কি আর হওয়ার ছিল তবু সেতো হল।
আমার উথাল পাতাল ঝোড়ো হাওয়ায় তোমার বাগান এলোমেলো।
হয়ত এরই নাম জীবন, অসীম ধাঁধার খেলা।
তুমি আমি পাশাপাশি , তবু অসীম অবহেলা।