আমি এবার বদলের খোলশে
ঢেকে নেবো নিজেকে---
বদলে দেবো আমার চলন বলন
বদলে যাবে জীবনের ধরণ।
অঝরে ঝরে পড়া বর্ষা জলের
রিনিঝিনি শব্দের মাধূর্যে
এখন আর আমি
জল নূপুরে ছন্দের তাল তুলি না,
অবারিত পথ-প্রান্তর;বন-বনানীর বুকে
গলে গলে পড়া জ্যোৎস্নার লাবণ্য
আমাকে ঠিক উদ্বেলিত করে তোলে না
আগের মতো,
থেমে যাওয়া বৃষ্টির ওপারে
বাহারী রঙ দেখেও
ইদানিং আর নেচে ওঠে না
দু'চোখের পাতা,
স্থির চিত্তে জানালার ওপাশে
মেঘেদের ভেসে চলা দেখি;
দেখি নীড়ে ফেরা পাখিদের কলতান,
আলো ঝরা দিন বিলীন হয়ে যায়
নিকষ আঁধার আগোয়ান।
চোখের নালিশে ভিজে যাওয়া
রাত বালিশে নেমে আসে
রাজ্যের স্থবিরতা,
চঞ্চলতা হারানো হৃদয়ের অলিন্দে
এখন আর কোনো আকুলতা নেই,
আছে কেবল স্থিরতা-স্থবিরতা
আর নিদারুণ এক নীরবতা।
কোথাও কোনো অভিযোগ নেই
নেই কোনো জিজ্ঞাসা;
নেই আর কোনো আকুলতা।
আমি ও শূন্যতা
অবিচ্ছেদ্য সংস্পর্শে
হেঁটে চলি জীবন যবনিকা পথে।