শিশির সিক্ত আলতো ছোঁয়া
শিহরিত মন ,
আঁকা বাঁকা মেঠো পথে
চলে অনুক্ষণ ।
মাঠ পেরিয়ে বন বাদাড়ে
যায় ছুটে যায় চলে ,
বাংলা মায়ের মুখ দেখবি
আয় ছুটে আয় দলে ।
কলসী কাঁখে গাঁয়ের বধূ
চলে নদীর ধারে ,
মিষ্টি রোদ দুষ্টু উকি
দিচ্ছে চুপিসারে ।
খেজুর রসের ভাঁড় বয়ে যায়
গাছিরা সব কাঁধে ,
উনুন পাশে লজ্জাবতী
ফিরনি পায়েস রাঁধে ।
পিঠে পুলি নতুন গুড়
মহা সমারোহ ,
গাঁয়ে গাঁয়ে ছড়িয়ে আছে
সুখের আবেশ মোহ ।
মাঠ জোড়া সবুজ হলুদ
নিবিড় আলিঙ্গণ ,
মৌমাছি আর প্রজাপতির
মধুর আলাপন ।
শস্য ভরা মটর ক্ষেত
সবুজ সজীবতা ,
দল বেঁধে সব দামাল ছেলে
চলছে মুখরতা ।
শান বাঁধানো পুকুর ঘাট
গল্প গুজব সতেজ ,
বিষন্নতা হাল ভেঙ্গেছে
রোদ পোহানো আমেজ ।
স্নান শেষে আঙ্গিনাতে
কেশ শুকানো সাজ ,
সূক্ষ্ম ফোঁড় নকশি-কাঁথা
নিপুণ কারুকাজ ।
রৌদ্র দিনের উচ্ছ্বলতা
ফুরিয়ে যত খেলা ,
কুয়াশা ঘেরা বসুধা বুকে
মায়াবী গোধূলি বেলা ।
সাঁঝের মায়া শীতের ছায়া
রাত্রি এলো ফিরে ,
রাখাল বালক ছুটে এলো
শ্রান্তি বারণ নীড়ে ।
শেয়াল ডাকা গভীর রাত
সেদ্ধ ধানের ধোঁয়া ,
কুহেলিকা ,মিষ্টি ঘ্রাণে
ভালবাসা ছোঁয়া ।
নকশি কাঁথা গায়ে টেনে
রাত্রি বসবাস ,
বাংলা বুকে সোনার গাঁয়ে
আমার আদি বাস ।