কোন এক হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়া সময়ের পালকে চড়ে
পৃথিবীর ছায়া তলে
শ্রান্তি নিবারণ নীড়ে
প্রথম কান্নার ঝড় তুলেছিলো যে নন্দিনী;
জীবনের ফাঁকা ডাকবাক্সে ঠিকানা বিহীন খামে
গন্তব্যহীন ছুটে চলা সময়ের বাঁকে
আজ সে উদ্বাস্তু রমণীর হৃদয়ে লালিত শব্দ পদাবলীর স্খলন ।
ফেলে আসা উঠোন রোদে
তবু সে মমতার আলিঙ্গণ খোঁজে;
সজনে পাতা ছায়ায় ,
ইট গাঁথুনি উনুনে
শুকনো কলা পাতা অনলে
পোড়া চড়ুইভাতির গন্ধে ।
ঝড়ে পড়া শিমুল বীজের শুভ্রতার ভাঁজে রঙহীন স্মৃতিরা উকি দেয় পানকৌড়ি দুপুরে ।
এই তো;এইটুকুই স্মৃতি তার,
বাকীটুকু ধূসর মেঘের ধূসরতায় এলোকেশী অন্ধকার ।
আলোকিত জোছনা নগরীর ঘাসফুল নির্জনতায় নিঃসঙ্গতার ঝাপসা আলোয়
আজও সে উদ্বাস্তু রমণী স্বপ্ন সূতোর শৈল্পিক বুননে ক্ষয়ে যাওয়া ছন্দ ফুলে
বুনে চলেছে কাব্যকথা ,
কোজাগরী সুখের আশায় এখনো তার নীল রঙা শাড়ীর আঁচল পাতা ।
উদ্বাস্তু রমণী জানেই না
সপ্তসুরে বাঁধা জীবনের সাতকাহন
বেলা শেষের ছায়া তলে নিমজ্জিত এখন ।
অথবা জানে---
জানে বলেই নীলকন্ঠ বেদনার নীল জলে সাজিয়ে নেয় নিজের জন্মতিথি,
কষ্ট সাথে গড়ে তোলে সৌহার্দ্য সম্প্রীতি ।।