জলধি'র জল ছোঁয়া নূপুর নিক্কণে বেজে ওঠা সুর,
দিগন্ত ছোঁয়া ছায়ানীড় সীমান্ত আঙ্গিনায়
করবী সাঁঝ আঁচলে যে কাব্য গেঁথে যায়
নিশ্ছিদ্র নীরবতায়,
সে কাব্য তুমি পড়নি কখনো ।
তুমি জানোই না-
তিমির কুন্তল তলে নির্ঝর কলঙ্ক হাসি
কি ছবি এঁকে যায়
তটিনীর বুকে ।
তুমি জানো না -
জানো না সবুজ শ্যামল বনো ছায় কাজল দীঘি জলে
কোন স্বপ্ন অহর্নিশ ভেসে চলে ।
নীপবন নীড়ে দলছুট বিহঙ্গ কি করে তার একাকী প্রহর কাটায়---তুমি দেখোনি কখনো,
আমি দেখেছি;
দেখেছি সাথীহারা সাথী খোঁজে
কী ভীষণ রকম উত্‍কন্ঠা তার চোখে ।
চিত্রা দুপুর কোলে
সদ্য ফোটা সরোবরে
চেয়ে দেখো তুমি
চেয়ে দেখো আকাশ নীলে জ্বলে থাকা সন্ধ্যা তারায়
অথবা নির্ঘুম মধ্যরাতের নির্জনতায়,
আমাকে খুঁজে পাবে নূপুর নিক্কণ সুরে গাঁথা কাব্যকথায়
তটিনীর বুকে আঁকা আলপনায়
কাজল দীঘি জলে ভেসে চলা স্বপ্নকণায়
আমাকে পাবে নীপবন নীড়ে
বিহঙ্গ উত্‍কন্ঠা মাঝে ,
পাবে তোমার কল্পসুখ রাজ্যে,
কপি শপের কোণার টেবিলে,
ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে
পাবে পাপে পুণ্যে,
লেকের পাড়ে;ঝিলের ধারে
ফুটপাত ধরে হাঁটা পথে,
হুড খোলা রিকশায়
তোমার কষ্ট কান্নায়
দূর্দান্ত বরষায় ।
তবে কেন আর এই ভাংচুর
কেন হৃদয় রক্তপাত ভরপুর !
আকাশে ভেসে চলা মেঘেদের রঙ এনে
একদিন মেঘফুল এঁকে দেবো তোমার বুকে ।