ভাল্লাগে না ভাল্লাগে না কি যে করি হায়
ভাবনারা যে করছে আমায় ভীষণ অহসায়।

কোথায় গেলে কতদূরে ভালো লাগার বাস
শূন্যতাদের সঙ্গে হেঁটে খুঁজি বারো মাস।

মাসে মাসে বছর গড়ায় বছর কেটে যুগ
চারিদিকে দেখি কেবল মুখোশ পরা মুখ।

মানুষ কেনো মানুষ ঠকায় পাতে কেনো ফাঁদ
আকাশ বাতাস নীরব থাকে মুচকি হাসে চাঁদ।

যুগের হাওয়ায় যুক্তি ভাসে অবান্তরের ভীড়ে
সুখ না খুঁজে তাই তো এলাম আপন নীড়ে ফিরে।

আমায় শূন্য ঘরের শূন্যতারা বাসে ভীষণ ভালো
চারিপাশের আঁধার ঠেলে ওরাই দেখায় আলো।

উঠে দাঁড়াও ঘুরে দাঁড়াও আর থেকো না বসে
শান্তি সুখের শ্বেত পায়রা খুঁজবে তোমায় এসে।

একলা কোথায় আমরা আছি সঙ্গে নিয়ে চলো
দুঃখ ব্যথা পুষছো কেনো আমরা শুনি; বলো।

নিজের জন্যে নিজেই এবার নতুন রূপে সাজো
কেউ কারো নয়; তুমি তোমার নিজের জন্য বাঁচো।

যদি রাত আঁধারের গভীরতায় একলা কাঁদে মন
আয়নায় দেখো খুঁজে পাবে নিজের আপন জন।

কোনো অতীত স্মৃতি পড়লে মনে ঘোর বরষায়
কেবল সুখ স্মৃতিদের সঙ্গে রেখো পরম মমতায়।

এই তো জীবন এটাই জীবন কেউ কারো নয়
ভালো লাগা নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।

পারবে তুমি; তুমিই পারবে সুখের ভেলায় ভাসতে
গুছিয়ে তোলা জীবন পথে শেষ হাসিটা হাসতে।