রূপোর থালায় মোড়ানো পঞ্চদশী চাঁদ             নীলাম্বর বাওয়া জোছনা ধোয়া গোধূলি,  
পাখিদের ঘরে ফেরা লগ্ন ।
খোলা দীঘল তেপান্তরের পরে
দিবাকর ক্রমশ প্রস্থানে,                    
রাখালেরা ফিরছে ধেনুপাল লয়ে  ।
শ্যামলিমা গাঁয়ের ধূলিধবল পথের ধারে         নীরবে দাঁড়িয়ে থাকা একসারি তরুবীথি ।                            তার আলোছায়াতে মিশে            
ভীরু পায়ে কাছে এসে
নাম ধরে ডাকলে তুমি ।
মেঘকালো চুল দুলিয়ে
খানিক মুচকি হেসে দাঁড়ালে পাশে ।
এক চিলতে হাসি !
এক চিলতে হাসির মাঝে
অধরে টোলের অশেষ মুগ্ধতা ।        
গোধূলি আলোর ফোয়ারায়          
অদ্ভূত ঝলমলে তুমি ।
তারপর, অনাগত অগণন স্বপ্ন বুনে        
অজস্র ক্রোশ পেরিয়ে গেছি
আমরা দুজন পাশাপাশি ।        
কত চঞ্চলতা          
কত উচ্ছলতা
কত আলোড়ন তোলা
অথৈ মাধুরী ভরা নীল দুটি চোখ,  
নির্জনতা ভেঙ্গে কত আলাপন তোমার  !
মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনেছিলেম সকলই ।


হৃদয় নদীর দু'কূল উপচানো ঢেউ বয়ে
সেই তুমি আজ অদৃশ্য
সেই তুমি আজ অস্পর্শীয়া,  
আমার ধরা হতে চলে গেছো দূরান্তে  !           মনে কি পড়ে                    
জরাজীর্ণ স্মৃতি ঘেঁটে হারানো দিনের কথা ?
মনে কি পড়ে কখনও                    
গোধূলি বেলায় রূপালী জোছনায়  
কোনো একেলা প্রহরে, এই আমাকে ?
মনে কি পড়ে ?