প্রজাপতি মেঘের অন্তরালে
সূর্যটা ঘুমোয় সারাদিন,
ঘড়ির কাঁটায় বুঝা গেল এখন পড়ন্ত বিকেল,
ধূলি-ধূসর গোধূলী না আসতেই
অকাল সন্ধ্যার পর্দা নামলো ধরিত্রীর পরে ।
অবুঝ দুটি মনের মেলা জমেছিল
তরুছায়া তলে,
চিরশ্যামল ঘাসের পালঙ্কে ।
এখনই ভাঙ্গবে বলে সে মিলন মেলা
ঝড় উঠে আচমকা
ক্ষুব্ধ হয় হৃদয় নদী,
উত্তাল তরঙ্গরাজি আঘাত হানে
কূলে কূলে,
কেঁপে উঠে পায়জরের হাড়গুলো
নোঙর ছেঁড়ার শব্দ শুনি,
আমার অস্থির চোখের দৃষ্টি অঞ্জলির পরে ।
অঞ্জলিটার মুখে গ্রহনের ছায়া
নিভে গেছে চন্দ্রালোক
কমলকলি অধরখানি বিবর্ণ আজ,
নীল যন্ত্রনায় কুকড়ে যায় সারাটা দেহ -
যেন ভোর না হতেই ঝড়ে যাবে
বর্ণালী নাইট কুইন ।
টানা টানা চোখ দুটো চকচকে
জমাট বাঁধা জলে,
বিদায়ের মন্দিরা বেজে উঠে...
তার পা দুটো সামনে বাড়াতেই
রুদ্ধ হল কন্ঠস্বর ।
শাড়ির আঁচলে মুখ ঢাকে সেদুই চোখে বহে ঝরনা ধারা ,
বহমান নদীর স্রোতে
সে ভেসে চলে ধীরে ধীরে
আমার  প্রাঙ্গন শুণ্য করে,
যতদূর দেখা যায়
পেছনে ফিরে চায় বারে বারে
স্বকরুণ দৃষ্টি দিয়ে দেখে নেয় আমায়,
শরবিদ্ধ আহত পাখির মত ।