তোমার বাড়িটার উঠোন পেরোলেই
অদূরে ধূলোমাখা মেঠো পথের বাঁকে
বিস্তীর্ণ মাঠের পাশে ঠায় দাঁড়িয়ে
মধ্য বয়সি আমের গাছটি ।
গোধূলি সাঁঝের বেলা অপূর্ব পঞ্চদশী চাঁদ
সেদিন রুপালী আলোর ঝর্নাধারা          
বিলিয়েছিল নির্দ্বিধায় ।          
বাঁধ ভাঙ্গা অবাধ্য স্রোতের মত
প্রসারিত ডালপালা ডিঙিয়ে            
অকৃপণ চাঁদের জোছনা ছুঁয়েছিল দু'জনকে ।
সেই গাছটি এখনো কি দাঁড়িয়ে তেমনি ?    
যার অবগুন্ঠনে সেদিন
মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেম আমরা দুজন ।    
সেইক্ষণে তোমায় আলতো করে ছুঁয়ে
জানিয়েছিলেম  অবিরল ভাললাগার কথা,              
চোখ বুজে তুমিও সায় দিলে প্রশ্নহীন ।
কেউ শোনেনি সেদিন
দুটি অবুঝ প্রাণের একান্ত আলাপন ।      
সেই লগ্ন দেখেছিল কেবল  
গোধূলির অনন্ত আকাশে নির্বাক পূর্ণিমা শশী,
অবারিত খোলা তেপান্তর  
মধ্য বয়সি আমের গাছটি,
আর ডালে ডালে মুগ্ধ হওয়া
যাযাবর কিছু পাখি ।  
সেই আমের গাছটি আজো কি তেমনি আছে ?
তার শীতল ছায়া নিবিড়ে কখনো অজান্তে
তোমার হৃদয় ক্যানভাসে ভেসে ওঠে কি স্মৃতিটুকু ?
ফেলে আসা দিনের কথা ভেবে
ভরা পূর্ণিমায় চাঁদের আলো নির্ঝর দেখে
আজো কি  উদাসী হও তুমি ?