অ।ণু।কা।ব্য।-
কিন্তু; কবি কে? দেখিবে কে?
   -মনজুর আলম
--------
প্রেমিকা পায় তাজি বোরাক
প্রেমিক পায় রসত খোরাক
রাষ্ট্র কি পায় বলতে পারেন?


তেল মেরে দলে ভিড়লে
ভূষিত আজীবন সম্মাননা
বিনা চিকিৎসায় আর মরে না।


সাদা মনের মানুষ হলে,
তাঁর ঠাঁই নির্ঘাত ভা-গাড়ে।
দলে না ভিড়ে বিরোধীতা করলে
কবির কদর আর কে করে?


ভাত নেই রাষ্ট্রের কোষাগারে
জমা-খরচ হিসেব খাতায়,
কবির নামও উঠে না?
ঠাঁই গারদ ঘরে কিংবা
রাষ্ট্রের সংশোধনাগারে?


যুদ্ধের আগে কবিদের কদর
কে-ই বা ঠিক কতটা বোঝে?
এ কি দেশে যুদ্ধ লেগেছে?


ফকির লালন শাহ্-নজরুল,
রবীন্দ্রনাথ-মধুসূদন-সুকান্ত
জসিমউদ্দিন-জীবনানন্দ
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, ফররুখ আহমদ,
আহসান হাবীব, সুফিয়া কামাল
গোলাম মোস্তফা, কায়কোবাদ
সুকুমার রায়-কামিনী রায়,
সৈয়দ শামসুল হক-আল মাহমুদ,
শামসুর রাহমান-রজনী কান্ত সেন,
নির্মলেন্দু গুণ প্রমূখ থেকে
কে? কবে? বেরিয়ে এসেছে?


যুদ্ধ পরবর্তী যত কবি এসেছে
যাঁরা কোনো না কোনো দলের
ধামা ধরা হয়ে থেকেছে, আছে
তারাই রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা
ভোগ করে বিদায় নিয়েছে;
আর বাকিরা? ধুঁকে ধুঁকে মরে
পঁচে গলে, বেঁচে গেছে।


বাউল সম্রাট শাহ্ আব্দুল করিম
দুই শিষ্য সহ জানাজা পড়ে
স্ত্রীর মরদেহ কবর দিয়েছিলেন
তাঁর বসত ভিটার উঠানে
আসেনি পাড়া প্রতিবেশী!
জানি না! সে কোন্ পাপে
কোন্ দোষে? কোন্ কারণে?


তাই, কবির মরণব্যাধি ধরিলেও
রাষ্ট্র আসেন না, যম কড়া নাড়ে!
কবিরা আজও রোগে-শোকে,
ধুঁকে ধুঁকে চলে যায় গোরে?


চাঁদা তুলে কোনো রকমে
শেষ বিদায় জানানো হয়,
হেলেনরাও পাশে থাকে না,
সময় যখন বে-রহম হয়!


শুনেছি! মধুসূদন দত্ত শেষ জীবনে
ডাস্টবিনের বমন খেয়ে মরেছেন।
তবুও কেউ কেউ গিনেস বুকে
নাম লেখাতে মরিয়া হয়ে লিখেই চলেছেন?
কিন্তু; কবি কে? দেখিবে কে?
-------
জন্মঃ ০৯/১১/২০২২ খ্রিঃ।