মেয়ে, তুমি পাটীগণিত বুঝো, বীজগণিত বুঝো;
ত্রিকোণমিতির সাইন থিটা বুঝো, বুঝো কস থিটাও।
জ্যামিতির অলি গলির মাপজোখ সবই বুঝো।
শুধু ভালবাসা বুঝো না, বুঝো না জীবনের হিসেবটাও।


ভেবেছিলাম, তোমাকে ঋণী করে হিসেবটা রাখবো খোলা;
একে একে মুনাফা নিবো টোলপড়া হাসি, মায়াময় চাহনী।
আলতো ছোঁয়া, অভিমানী খুনসুটি,ভালোলাগার মূহুর্তগুলা।
আরও নিবো মাতাল চুলের ঘ্রাণ, বিশ্বাসী হৃদয়ের ধ্বনি।


বাধ সাধলে, বললে, দিনে দিনে বেড়েছে ঋণের পাহাড়;
খানিকটা কমাতে চাও, তাই এই দূরে যাওয়ার ভণিতা।
তোমার মনের ডিপোজিটে ভালবাসার হিসেবে আমার;
যোগ বিয়োগের খেলায় পেয়েছি শূন্য গুণনে শুধুই শূন্যতা।


ফিরে এসো প্রিয়তম, জীবন যেখানে স্রোতস্বিনী ধারা;
মাথার ভিতর কবিতার পান্ডুলিপি, বুকে সহস্র ফাগুন।
বুঝলাম, তোমার ভিতরে বাহিরে না-ফেরার পাঁয়তারা;
রাস্তায় রাস্তায় মিছিলে, শ্লোগানে, ঢাকায় নাকি আগুন।


তোমার বন্ধ জানালায়, কি হবে আর বলো নিষ্ফল কান্নায়?
আমি কবি, তাই পোষ্টমর্টেম করি কবিতায় কবির ফাঁসি।
আমার দ্বিধাগ্রস্ত পা আটকে যায় তোমার চোখের আঙিনায়,
ঝরা পাতার দিনে হয়নি বলা, তাই আড়াল থেকেই ভালবাসি।