উচ্ছন্নে যাওয়া আমি, অপেক্ষায় থাকা চাতক পাখী যেন,
যেন কতকাল দেখা হয় নাই তোমায়।
তেষ্টায় পুড়ে যাওয়া বক্ষ নয়, হৃৎপিন্ডের কথা বলছি,
একপশলা স্বস্তির বৃষ্টির প্রতীক্ষায়।  
শুনতে চাইনি কী বলছিলে সেদিন, তুমি-তোমরা মিলে,
ছুঁতে চাইনি ঐ দুষ্টোমি ভরা নেত্রখানি।
নিতে চাইনি এলিয়ে দেওয়া আদ্র কেশের ঘ্রাণ,
দেখতে চাইনি তোমার ঘুমভাঙা সদ্যজাগা মুখখানি।
দূর হতে শুধু অনুভূতি নিতে চেয়েছিলাম,
কতোটা অপরুপ দেখাচ্ছে আজকে তোমায়।
জানতে চেয়েছিলাম কেমন আছো তুমি,
ইট-কাঠ, কাঁচ-পাথরের শহুরে ব্যাস্ততায়।
দুঃসাহসের ডানা মেলে খুব কাছে গিয়েও
ফিরতে পারিনি, ভেঙে বাঁধার দেয়াল।
কষ্ট হয়নি আমার, তুমি ডাকোনি বলে,
খুব সঙ্গোপনে করেছি আড়াল।
জোর গলায় হয়নি বলা, "যেও না লক্ষ্মীটি",
রাগও হয়নি আমার, অধিকার নেই বলে।
বসন্ত আসবে বলেই তো শিশির পরা রাতে,
দেখতে এসেছিলাম কতটা পূর্ণতা পেলে।
তোমার সাথে দেখা মানে, স্মৃতিদের মাইলফলক,
উত্তাল কোন নদী পার হয়ে আসা স্বপ্নের নৌকায়।
দেখা না হওয়া মানে, ফেলে আসা স্মৃতির আর্তনাদ,
অনুভূতির মিছিলের থমকে যাওয়া ভুল দরজায়।
এই বসন্তে ফুল হয়ে ফুটতে কতটা সময় নিবে,
কেউ একজন বসে থাকে সেই প্রতীক্ষায়।
আমার আমি কে বদলে ফেলি, ভেঙে গড়ি,
নিষ্ফল ক্রন্দনে ভরিয়ে তোমার বন্ধ জানালায়।